সংক্ষিপ্ত
বেশ কয়েকটি সংস্থার সিইওদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বাজেটের আগে বেসরকারি খাত থেকে পরামর্শ গ্রহণের জন্যই এই বৈঠক।
সোমবার বেশ কয়েকটি শিল্পক্ষেত্রের শীর্ষস্থানীয় সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইওদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এরমধ্যে ছিল ব্যাঙ্কিং, পরিকাঠামো, অটোমোবাইল, টেলিকম, ভোগ্যপণ্য, টেক্সটাইল, পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তি, আতিথেয়তা, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, মহাকাশ, ইলেকট্রনিক্স ক্ষেত্রের শিল্প-নেতারা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী অর্থবর্ষের জন্য বাজেট অধিবেশনের আগে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী খাতের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণের জন্য এরকম অনেকগুলি বৈঠক করবেন। তার অন্যতম ছিল এদিনের বৈঠক।
১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলে প্রতিটি অর্থবর্ষ। আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, এমনটাই আশা করা হচ্ছে। তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। আসন্ন বাজেটে কোভিড-১৯ মহামারি প্রভাব কাটিয়ে আর্থিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার দিকে মনোনিবেশ করছে সরকার। এই কারণেই সরকারি বেসরকারি সর্বস্তরের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে দুটি অধিবেশনে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার গ্রুপের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রাক-বাজেট পরামর্শ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গত সপ্তাহে, ভারতকে আরও আকর্ষণীয় বিনিয়োগস্থলে পরিণত করার বিষয়ে পরামর্শ চাইতে শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট ইকুইটি বা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্লেয়ারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। উপরন্তু, গত বছর তিনি অন্তত ২০ টি বড় মাপের বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যাদের হাতে প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ পরিচালিত হয়।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, বিজেপি সরকার একের পর এক আর্থিক সংস্কার করে চলেছে। যার প্রভাবে ভারত বৈশ্বিক 'ইজ অব ডুইং বিজনেস' র্যাঙ্কিংয়ে সহজেই অনেকটা উপরে উঠে এসেছে। মোদী সরকার এখন ভারতকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং হাব অর্থাৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে গড়ে তোলার উপর জোর দিচ্ছে। অটোমোবাইল থেকে সেমিকন্ডাক্টর বা সৌরশক্তি সেক্টরের জন্য উৎপাদন-মুখী প্রণোদনা প্রকল্প ঘোষণা করেছে। আশা করা হচ্ছে এই সকল প্রণোদনা, বৈশ্বিক উৎপাদন শিল্প সংস্থাগুলিকে আকৃষ্ট করবে।
এদিনের বৈঠকের পর, সভায় উপস্থিত শিল্পপতিরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী একটি পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন, তা হল, শিল্পের প্রতিটি ক্ষেত্রে, ভারতকে বিশ্বের প্রথম পাঁচ দেশের মধ্যে উঠে আসতে হবে। উত্পাদন ও রপ্তানিকে সমর্থন করার জন্যও তাঁর সরকার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। ভারতকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তাই নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে বৈঠকটি ছিল আকর্ষণীয়, ইতিবাচক এবং উৎসাহব্যঞ্জক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায় ঘণ্টা দুই ধরে শিল্পপতিদের সমস্ত কথা শোনেন।