সংক্ষিপ্ত

সেলা টানেল উদ্বোধন করে চিনকে জবাব ভারতের। জানুন এটির সেরা ১০টি বৈশিষ্ট্য।

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘতম টানেল সেলা টানেল উদ্বোধন করেছেন। অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগর থেকে এই টানেলেন উদ্বোধন করে। তিনি কংগ্রেসকে নিশানা করেন। তিনি বলেন তাঁর সরকার গত পাঁচ বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের জন্য যে কাজ করেছেন কংগ্রেসের সেই কাজ করতে গত ২০ বছর লেগে যেত। তিনি আরও বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কংগ্রেস দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করেছে। রইল এই টানেলের সেরা ১০টি পয়েন্ট।

১. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় সেলা টানেল বিকশিত ভারতের একটি অঙ্গ। অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরে 'ডেভেলপ ইন্ডিয়া ডেভেলপ নর্থ ইস্ট' ইভেন্টে তিনি বলেন উত্তর-পূর্বকে বিকশিত করবে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় দুই লেনের টানেল।

২. বিশ্বের দ্বিতীয় দুই নেলের টানেল নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮২৫ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

৩. অরুণাচল প্রদেশের সেলা পাসে তৈরি হয়েছে এটি । যা চিনা হুমকির কারণে কৌশলগত দিক দিয়ে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছে অনেকে। কারণ এই টানেলের মাধ্যমে সব ঋতুতেই তাওয়াং এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে। বরফ পড়লেও যোগাযোগ থেমে যাবে না।

৪. এই টানেল তৈরি করেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন বা বিআরও। একটি টানেলের দৈর্ঘ্য ৯৮০ মিটার। অপর টানেলটির দৈর্ঘ্য ১৫৫৫ মিটার। লিঙ্ক রোডের দৈর্ঘ্য ১২০০ মিটার।

৫. এই প্রকল্পে কাজ করেছিলেন ৬৫০ জন শ্রমিক। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন হয়েছে ৫০০০ মেট্রিক টন স্টিল ও ৭১০০০ মেট্রিট টন স্টিল।

৬. সেলা টানেলে বিশেষ ধরনের মনিটারিং সিস্টেম রয়েছে। থাকছে জেট ফ্যান ভেন্টিশন সিস্টেম। সেলা পাশের ৪০০ মিটার নিচে অবস্থিত সেলা টানেলের মাধ্যমে সেনা বাহিনীকে সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হবে।

৭. সেলা টানেল ১৩০০০ ফুট উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছে। সেলা টানেল ট্রান্স-অরুণাচলে তৈরি করা হয়েছে। এটি তাওয়াং জেলাকে পশ্চিম কামেং জেলা থেকে পৃথক করেছে। এই টানেল যাওয়া আসার সময় অনেক কমিয়ে দেবে।

৮. চিনা হুমকির মোকাবিয়া এই টানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারণ এটি দ্রুত সেনাবাহিনীকে সীমান্তে পৌঁছে দেবে। পাশাপাশি সব যোগাযোগ বজায় রাখতে পারবে। শুধু সেনা বাহিনী নয়, এই টানেলের মাধ্যমে দ্রুত অস্ত্রও পৌঁছে দেওয়া যাবে সীমান্তে।

৯. সেনা কর্তাদের কথায় এই শীতকালে এই টানেল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ সেই সময় বরফের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

১০. তাওয়াং থেকে তেজপুর যাওযার সময় প্রায় এক ঘণ্টা হয়ে যাবে এই টানেলের কারণে। যাতায়াতও সুগম হবে। সাধারণ যাত্রীদের পাশে সুবিধে পাবে সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও।