সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী তার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের উপর ভিত্তি করে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পগুলির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।
স্বাধীনতার দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা বলেছিলেন। এদিন সেই প্রকল্পগুলির অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। পাশাপাশি প্রকল্পগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও কর্তাব্যক্তিরা।
যারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল
১. মহিলাদের ওপর ফোকাস
১ কোটি লক্ষপতি দিদি তৈরি করা থেকে শুরু করে ১৫০০০ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ড্রোনের সাহায্যে ক্ষমতায়ন করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা। তিনি এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পরিকল্পিত বিভিন্ন জীবিকার বিষয়ে খোঁজ খরব নেন। স্বনির্ভর প্রকল্পের মহিলাদের আরও উন্নত করার উদ্যোগের কথা বলেছিলেন। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্যে ড্রোন দিয়ে সজ্জিত করার কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ পর্যন্ত এটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছিল।
২. জন ঔষধি স্টোরের কভারেজ
দ্রুত জন ঔষধি স্টোরের কভারেজ ১০০০০ থেকে বাড়িয়ে ২৫০০০ করার পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই প্রকল্পটি কী করে আরও দ্রুত বাস্তবায়িত করা যায় তা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের উপর ভিত্তি করে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পগুলির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণেও মুল্যস্ফূীতি রোধ করার বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, জনগণের ওপর মূল্যবৃদ্ধির বোঝা কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার আরও পদক্ষেপ করবে। ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছেন। আগামী দিনে আরও পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে মুদ্রাস্ফীতি বিশ্বের অর্থনীতির ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কথা বলার সময় মোদী বলেছিলেন, যে কোভিড মহামারি খারাপ সময় কাটিয়ে বিশ্ব বেরিয়ে আসার আগেই যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতির ওপরও। তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্ব মুদ্রাস্ফীতির সংকটের সম্মুখীন। মুদ্রাস্ফীতি পুরো বিশ্বের অর্থনীতিকে গ্রাস করেছে। বিশ্ব থেকে যে পণ্যের প্রয়োজন হয় তাও আমরা নিয়ে আসিষ আমরা পণ্যের আমদানি করি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের মূল্যস্ফীতি আমদানি করতে হচ্ছে।’