সংক্ষিপ্ত

ধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, অন্যদের মারধর করা ও তাণ্ডব করা কংগ্রেসের পুরনো সংস্কৃতি। তিনি আরও বলেছেন, অবাক হওয়ার কিছু নেই দেশের ১৪০ কোটি মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার কংগ্রেসকে প্রবলভাবে আক্রমণ করেছেন। আইনজীবিদের লেখা প্রধানবিচারপতির চিঠির কারণে এই আক্রমণ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, অন্যদের মারধর করা তাণ্ডব করা কংগ্রেসের পুরনো সংস্কৃতি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রসও। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিচারবিভাগকে রক্ষা করার নামে বিচার বিভাগের উপর আক্রমণ করাকে একটি নির্লজ্জতা আর ভণ্ডামির উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, অন্যদের মারধর করা ও তাণ্ডব করা কংগ্রেসের পুরনো সংস্কৃতি। তিনি আরও বলেছেন, অবাক হওয়ার কিছু নেই দেশের ১৪০ কোটি মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদী বলেছেন, 'পাঁচ দশক আহগে তারা নিজেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিচারবিভাগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তারা নির্লজ্জভাবে তাদের স্বার্থের জন্য অন্যদের থেকে প্রতিশ্রুতি চায়। কিন্তু দেশের প্রতি তারা প্রতিশ্রুতি পুরণ থেকে দূরে থাকে।'

 

 

অন্যদিকে সম্প্রতি দেশের প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখেছেন দেশের প্রায় ৬০০ জন বিচারপতি। বিচারবিভাগের প্রতি দেশের মানুষ আস্থা হারাচ্ছে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা লিখেছে, 'নিহিত স্বার্থবাদী গোষ্ঠী বিচার বিভাগের ওপর চাপ তৈরি করেছে আর আদালতের মানহানির চেষ্টা করছে। তাদের চাপের কৌশলগুলি রাজনৈতিক মামলাগুলিতে স্পষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।' তাদের চিঠিতে বলা হয়েছে এই কৌশলগুলি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য ক্ষতিকর। আইনজীবীদের অভিযোগ সরকারের একটি অংশ বিচারবিভাগকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। তবে চিঠিতে আইনজীবীরা কোনও নির্দিষ্ট মামলার উল্লেখ করেননি।

যাইহোক প্রধানমন্ত্রীর লেখা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও পাল্টা তোপ দেগেছেন। তিনি বলেছেন, 'বিচারবিভাগকে রক্ষা করার নামে বিচার বিভাহের উপর আক্রমণ করাকে নির্লজ্জতা আর ভণ্ডামির পর্যায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিচার বিভাগকে রক্ষা করার নামে বিচার বিভাগের উপর আক্রমণ পরিচালনা করা ও সমন্বয় করা ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্লজ্জতা ভণ্ডামির পর্যায় পৌছেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে সুপ্রিম কোর্ট তাকে আঘাত দিয়েছে। নির্বাচনী বন্ড স্কিম একটি উদাহরণ মাত্র। সুপ্রিম কোর্ট তাদের আনা প্রকল্পকে অসাংবিধানিক বলেদিয়েছে। ' তিনি আরও বলেছেন, এই বন্ডকেই হাতিয়ার করে কোম্পানিগুলিকে তারা অনুদান দিতে বাধ্য করেছে। সংস্থাগুলিকে ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, কৃষকদের নূন্যতম সহায়ক মূল্যকে গ্যারেন্টি দেওয়ার পরির্তে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিকে আইনি গ্যারান্টি দিচ্ছেন।