সংক্ষিপ্ত

নতুন কোভিড ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে গোটা দেশে ২১৩জন ওমিক্রনে আক্রান্ত। 

ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Corona Virus)। দেশের পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। দেশের করোনা পরিস্থিতি (COVID-19 situation) পর্যালোচনা করতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকলেন মোদী (Modi to hold meeting)। নতুন কোভিড ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে গোটা দেশে ২১৩জন ওমিক্রনে আক্রান্ত। এরই মধ্যে গবেষকরা জানান, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে ফেব্রুয়ারী মাসে।

এই সময় প্রতিদিন দেড় থেকে ১.৮ লক্ষ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে। তবে গবেষকদের মতে এটি ঘটতে পারে যদি নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্টটির মোকাবিলা প্রাকৃতিকভাবে বা টিকা দেওয়ার মাধ্যমে শরীরে থাকা ইমিউনিটি দিয়ে না করা যায়। 

গবেষকদের ধারণা দক্ষিণ আফ্রিকায় যেভাবে ওমিক্রন হানা দিয়েছে, ভারতেও সেই ছবিরই প্রতিফলন ঘটবে। ফেব্রুয়ারি মাসে যদি সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা হয়, তবে এক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড কেসের গড় সংখ্যা ১৫ ডিসেম্বর প্রায় ২৩ হাজারে পৌঁছেছিল। যা এখন ২০ হাজারের নীচে নেমে গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে।

ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে কেন্দ্রের সতর্কবার্তা নতুন কোভিড রূপটি করোনভাইরাসটির ডেল্টা রূপের চেয়ে তিনগুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য। ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অবশ্যই কনটেইনমেন্ট জোন (Containment Zone) নির্ধারণ এবং করোনা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা (COVID-19 Restrictions) জারি করতে হবে। চূড়ান্ত সীমা কী হবে, তাও বলে দিয়েছে কেন্দ্র। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা (Coronavirus Test) করে ১০ শতাংশ বা তার বেশি পজিটিভ ধরা পড়লে কিংবা অক্সিজেন সমর্থন বা আইসিইউ বেডের (ICU Bed) ৪০ শতাংশ ভর্তি হলে সেটাকেই চুড়ান্ত সীমা বলে ধরে নিতে হবে। চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ ভারতে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট সংক্রমণও ছড়াচ্ছে। তাই, অঞ্চল এবং জেলা স্তরে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

চিঠিতে নাইট কারফিউ (Night Curfew), বৃহৎ জমায়েতের নিয়ন্ত্রণ, অফিসে আসা কর্মীদের সংখ্যার উপর বিধিনিষেধ জারি এবং গণপরিবহন নিষিদ্ধের মতো বেশ কয়েকটি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে, হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সরঞ্জাম এবং ওষুধ সহ চিকিৎসা পরিকাঠামো বৃদ্ধির জন্য জরুরি তহবিল ব্যবহার করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।