সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি উদ্বেগে রেখেছে দেশকে। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিওরিটির সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ প্রতিটি দেশের নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। বাদ নেই ভারতও। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি উদ্বেগে রেখেছে দেশকে। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিওরিটির (CCS meeting) সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। পর্যালোচনা করেন দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থার খুঁটিনাটি (India’s security preparedness)। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে সিসিএস বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন মোদী।
এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে সাম্প্রতিক সুরক্ষাবিধি এবং সীমান্ত এলাকা, সামুদ্রিক ও বিমান ডোমেনে ভারতের নিরাপত্তা প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে ইউক্রেন থেকে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির কিছু নাগরিকের সাথে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সর্বশেষ তথ্য দেওয়া হয়। অপারেশন গঙ্গার বিশদ বিবরণ সহ ইউক্রেনের সর্বশেষ উন্নয়ন সম্পর্কেও অবহিত করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী নির্দেশ দিয়েছেন যে খারকিভে মারা যাওয়া নবীন শেখরপ্পার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য সম্ভাব্য সবরকম চেষ্টা করা উচিত।
এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিরক্ষা খাতে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির ব্যবহার এবং একই সাথে ভারতের অগ্রগতির বিশদ বিবরণও নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করার ওপরও জোর দেন। মোদী এদিন বলেন যে প্রতিরক্ষা খাতে ভারতকে স্বনির্ভর করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা উচিত যাতে এটি কেবল আমাদের নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করে না বরং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতিও বাড়ায়।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। প্রায় সব এলাকাই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। আর সেখানে এখনও পর্যন্ত আটকে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। কোনওরকমে সেখান থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে পালানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অবশ্য আগেই বলা হয়েছিল অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে শুধুমাত্র ভারতীয়দের নয় পড়শি দেশের নাগরিকদেরও উদ্ধারে সাহায্য করা হবে।
এর আগে বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিককেও ভারতের তরফে উদ্ধার করা হয়েছিল ইউক্রেন থেকে। তার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যায়, ইউক্রেনের সুমি (Sumi) থেকে ১২টি বাসের কনভয় বেরোয় পল্টভার দিকে। যেখানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে রেড ক্রসের কর্মীরা ছিলেন। তবে সেখানে শুধু ভারতীয়রাই নন, সঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিকরাও ছিলেন। মোট ন’জন বাংলাদেশি ছিলেন উদ্ধার হওয়া নাগরিকদের মধ্যে। এছাড়াও বেশ কিছু আটকে পড়া নেপালি ও টিউনিশিয়ান ছাত্রছাত্রীদেরও উদ্ধার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সুমিতে আর কোনও ভারতীয় ছাত্রছাত্রী আটকে পড়ে নেই, যা বলাই বাহুল্য ভারত সরকারের অপারেশন গঙ্গার সাফল্য ইঙ্গিত করে।