সংক্ষিপ্ত

দেশের কোনও মেডিকেল কলেজে যাতে তাঁদের সুযোগ দেওয়া হয় সেই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পড়ুায়ারা। শনিবারই দিল্লি হাইকোর্টে এই নিয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেন ইউক্রেন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়ারা।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই ইউক্রেনে (Ukraine) পড়তে যান বহু পড়ুয়া। কিন্তু, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ (Ukraine Russia Conflict) শুরু হওয়ার পর সেখান থেকে দেশে ফিরেছেন বহু পড়ুয়া (Medical Student)। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) 'অপারেশন গঙ্গা'-র (Operation Ganga) মাধ্যমে অনেককেই দেশে ফেরানো হয়েছে। কিন্তু, নিরাপদে দেশে ফিরলেও মাঝপথে পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ এখন কবে যুদ্ধ থামবে আর তাঁরা আবার ওই দেশে গিয়ে পড়াশোনা করবেন তার কোনও ঠিক নেই। তাই বাকি পড়াশোনা দেশেই শেষ করার আর্জি জানিয়ে এবার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) পিটিশন দাখিল করলেন ইউক্রেন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। এই মামলার শুনানি হতে পারে ২১ মার্চ। 

আজ ১৮ দিনে পা দিয়েছে ইউক্রেন রাশিয়া (Russia) যুদ্ধ। যত দিন যাচ্ছে ততই সেখানে খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার হামলার জেরে ভেঙে গিয়েছে অনেক বাড়ি, হাসপাতাল ও অফিস। রাস্তা-ঘাটের অবস্থাও খুবই খারাপ। এই পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধ থামলেও এখনই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে না ইউক্রেন। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে আরও অনেকটাই। ফলে এই পরিস্থিতির মধ্যে বাকি পড়াশোনা কীভাবে শেষ করবেন তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ুয়ারা। কবে কীভাবে তাঁদের পড়া শেষ হবে তা ভেবেই পাচ্ছেন না। ফলে কয়েক বছর তাঁদের নষ্ট হয়ে যাবে। আর এই কথা চিন্তা করেই বাকি পড়াশোনা দেশেই শেষ করতে চান তাঁরা। 

আরও পড়ুন- কিয়েভের পর অবরুদ্ধ মারিউপোল, পুতিনকে বৈঠকে বসার প্রস্তাব জেলেনস্কির

দেশের কোনও মেডিকেল কলেজে যাতে তাঁদের সুযোগ দেওয়া হয় সেই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পড়ুায়ারা। শনিবারই দিল্লি হাইকোর্টে এই নিয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেন ইউক্রেন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। আবেদন পত্রে তাঁরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের তরফে তাঁদের দেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল কলেজ থেকেই বাকি পড়াশোনাটুকু শেষ করতে দেওয়া হোক। প্রবাসী লিগাল সেলের (Pravasi Legal Cell) তরফে ওই পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। ২১ মার্চ এই মামলার শুনানি শুরু হতে পারে। 

আরও পড়ুন- 'বাড়ি ফিরতে চাই', ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করা ভারতীয় ছাত্রের ফোন বাবাকে

জরুরি পরিস্থিতিতে এককালীন সুবিধা হিসেবেই এই সব পড়ুয়াদের দেশেই লেখাপড়া শেষ করতে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পিটিশনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ুয়াদের উদ্ধার করে আনা হলেও, তাঁদের বাকি থাকা পড়াশোনা শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম বা আইন নেই। তাই দেশেই যাতে তাঁদের সুযোগ দেওয়া হয় তার জন্য আবেদন করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- প্রযুক্তি এখন একটি সম্ভাবনাময় অস্ত্র, গুজরাতে প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনে বললেন মোদী

এ প্রসঙ্গে আইনজীবী এমপি শ্রীভিগনেশ বলেন, "প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়া যাঁরা ইউক্রেনে পড়াশোনা করছিলেন, তাঁরা বর্তমানে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। যুদ্ধের কারণে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই সেন্টার অ্যান্ড ন্য়াশনাল মেডিকাল কমিশনের Centre and National Medical Commission) কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। এই মর্মে তাঁদের যথাযথ পদক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। তার ফলে যাতে পড়ুয়ারা নিজেদের বাকি থাকা পড়াশোনাটুকু দেশেই শেষ করতে পারেন। কোনও বছর যাতে তাঁদের নষ্ট না হয়।"