সংক্ষিপ্ত
- শিখগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
- সকালে চলে যান দিল্লির রাকাবগঞ্জ গুরুদারে
- কথা বলেন কর্মকর্তাদের সঙ্গে
শনিবার শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর রবিবারই সশরীরে হাজির হবেন দিল্লির গুরুদার রাকাব গঞ্জ সাহিবে। গুরুদারের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন হঠাৎ করে সকালেই গুরুদার সফর করেন। সূত্রের খবর এই সফর তাঁর কর্মসূচির অঙ্গ ছিল না। তিনি সেখানে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে সেই সফরের কিছু ছবিও পোস্ট করেন তিনি। ক্যাপশানে লিখেছেন রাকাব গঞ্জ সাহিসেবের আরও কিছু ঝলক। সূত্রের খবর তাঁর সফরের জন্য জন্য বিশেষ কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। সাধারণ দর্শনার্থীদের মতই তিনি গুরুদারে যান। প্রার্থনা করেন।
১৯ ডিসেম্বর ১৬৭৫ সালে মৃত্যু হয় শিখদের নবম গুরু তেগ বাহাদুরের। শিখগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন সকাল তিনি গিয়েছিলেন রাকাব গুরুদারে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, তেগ বাহাদুরজির দীবন সাহস আর মমতা সবকিছুই স্মরণ করার মত। মহান গুরুকে তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি লিখেছিলেন শিখগুরুর দেহ রাকাবগঞ্জে সমাহিত করা হয়েছে। তাই তিনি তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন এই শিখ গুরু তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। গুরুদারের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন প্রাধনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন সকালে রাকাস গঞ্জ সাহিবে এসেছিলেন। তিনি শ্রদ্ধা জানান তেগ বাহাদুরজিকে। ঘুরে দেখেন গুরুদার। কথা বলেন কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তিনি তাঁর সফরের সময় সাধারণ দর্শনার্থীদের বাধা দেওয়া হয়নি।
দিল্লি উপকণ্ঠে কৃষক আন্দোলন এদিন ২৫ দিনে পড়েছে। তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতেই আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা। এই আন্দোলেন নেতৃত্বে রয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। প্রথমভাগেই রয়েছে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের ভাবমূর্তি ধরে রাখতেই এদিন গুরুদার সফর করেন। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাবমূর্তিতে কোনও আঁচড় কাটতে পারেনি কৃষক আন্দোলন।