সংক্ষিপ্ত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন সময় বুধবারই ওয়াশিংটন পৌঁছে গেছেন। সেখানে প্রবাসী ভারতীয় সদস্যরা তাঁকে স্বাগত জানান।

 

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়েই বেশি আগ্রহী ভারতের প্রধানমন্ত্রী। নিউইয়র্ক থেকেই তাঁর মার্কিন সফর শুরু হয়েছে। সেখানে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানে থেকেই মোদী পৌঁছে গেছেন ওয়াশিংটনে। সেখানেই তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন ভারতীয়রা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন সময় বুধবারই ওয়াশিংটন পৌঁছে গেছেন। সেখানে প্রবাসী ভারতীয় সদস্যরা তাঁকে স্বাগত জানান। জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে গার্ড অব অনার প্রদানের পর প্রধানমন্ত্রী উইলার্ড ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যান। সেই হোটেল চত্ত্বরে ছিল প্রবাসী ভারতীয়দের ভিড়। মোদী তাঁদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিয়ম করেন।

অন্যদিকে ওয়াশিংটনের ফ্রি়ডম প্লাজায় মোদীকে স্বাগত জানাতে রীতিমত ভারতীয়দের ঢল নামে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও মোদীর নামে স্লোগান ওঠে। প্রবাসী গুজরাটিতে একটি অংশ হোটেলের সামনেই গরবা প্রদর্শন করেন। এটি গুজরাটি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অন্যদিকে মোদীকে স্বাগত জানাতে প্রবাসী ভারতীয়রা এদিন 'মোদী মোদী', 'ভারতমাতা কি জয় ' আর ' বন্দে মাতরম' স্লোগান তোলেন। প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে শিশুদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত।

এক ভারতীয় জানিয়েছেন মোদী তাঁর হাত ছুঁয়েছেন। তিনি অনুগামীদের আবদার মেটাতে তাদের শার্টেও সই করেছেন। মোদীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎকার কোনও দিনই ভুলবেন না বলেও জানিয়েছেন অনেকে।

ওয়াশিংটনে মোদীর গ্র্যান্ড অভ্যর্থনারও আয়োজন করেছেন প্রবাসী ভারতীয়রা। রিগান বিল্ডিং ও ইন্টারন্যাশানাল ট্রেড সেন্টারে হবে বিশেষ অনুষ্ঠানে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টা দুই ঘণ্টার ইভেন্ট নিয়ে উৎসহী অনেকে। এই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গায়িকা মেরি বিলবেন পারফর্ম করবেন।

নরেন্দ্র মোদি ২১ শে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসাবে পালিত হওয়ার জন্য বীজ বপন করার নয় বছর পরে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বুধবার জাতিসংঘের সদর দফতরে একটি ঐতিহাসিক ইভেন্টের নেতৃত্ব দেন। একই মঞ্চে যেখানে তিনি প্রাচীন অনুশীলনটিকে বিশ্ব মানচিত্রে রেখেছিলেন। যোগকে 'সত্যিই সার্বজনীন' এবং কপিরাইট এবং পেটেন্ট থেকে মুক্ত হিসাবে বর্ণনা করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি নিউইয়র্কে ৯তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের স্মরণে একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন, যেখানে জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা, সারা বিশ্বের রাষ্ট্রদূত এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।জুলাই ২০১৪ সালে, ভারত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাথমিক UNGA রেজোলিউশনের প্রস্তাব করেছিল এবং রেকর্ড ১৭৫টি সদস্য দেশ এটিকে সমর্থন করেছিল। রাষ্ট্রসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯ তম অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মোদি তার ভাষণে এই ধারণাটির প্রথম উল্লেখ করেছিলেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে, জাতিসংঘ তার ব্যাপক আবেদনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। নরম শক্তি কূটনীতির একটি শক্তিশালী প্রদর্শন তখন শুরু হয়। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস এখন শুধু ভারতের প্রতিনিধিত্ব নয়; এটি বিশ্বজুড়ে ভারতকে অসাধারণ কূটনৈতিক প্রভাবও দেয়।