সংক্ষিপ্ত
- সরে গেলেন পিকে সিনহা
- প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন
- তাঁর পদত্যাগ নিয়ে নিশ্চুপ সরকার
- সুত্রের খবর অসুস্থ ছিলেন তিনি
সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন পিকে সিনহা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রের খবর তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র জমাও দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা জানিয়েছেন ১৫ মার্চ তিনি দায়িত্ব ছেড়েছেন। তবে কী কারণে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা জানিয়েছেন পিকে সিনহা শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর স্বাস্থ্যের কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কাজের প্রবল চাপ থেকে তিনি সরে যেতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্তা। তিনি আরও বলেন পিকে সিনহনা একটা দক্ষ আমলা। তাঁকে, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী ও কাজের পদ্ধতিও অনেক আমলাই অনুকরণ করেন।
সূত্রের খবর গত বছর এপ্রিল মাস থেকেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রদবদল হচ্ছিল। পিকে সিনহার প্রস্থান তাতে সর্বশেষ সংযোজন। গত বছর এপ্রিলে অর্থনৈতিক বিষয়ক অধিকর্তা তরুণ বাজার নর্থ ব্লকে চলে গিয়েছিলেন। পরে তাঁকে রাজস্ব মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হবে। একে শর্মা, যিনি ২০০১ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তিনিও জানুয়ারি স্বেচ্ছাবসরের আগে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রকে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে অবসরপ্রাপ্ত দুই কর্মকর্তা ভাস্কর খুলবে ও অমরজিৎ সিনহা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা নিযুক্ত হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ে নতুন ও তরুণদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
'হোটেল বুক করে তাঁকে হত্যার ছক কষা হচ্ছে', ছাতনার জনসভায় অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ...
নীলবাড়ি দখলের 'নীল নকশা' তৈরির উদ্দেশ্য, সফরসূচি বদলে কলকাতার হোটেলে রাতভর বৈঠক শাহর .
পিকে সিনহা উত্তর প্রদেশের ১৯৭৭ সালের আইএসএস ছিলেন। নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে অজিত শেঠের কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার আগে তিনি বিদ্যুৎ ও পরিবহন মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় থেকেই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। নৃপেন মিশ্র চলে যাওয়ার পরে তিনি প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হয়েছিলেন। তবে সিনহার সরে যাওয়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকার কোনও মন্তব্য করেনি।