সংক্ষিপ্ত

বড়দিনের দিনেই কোভিড নিয়ে দেশবাসীকে বিশেষ বার্তা দিলেন মোদী। বড়দিন ও বর্ষবরণ ঘিরে মানুষের উন্মাদনার দিকে নজর রেখেই সকল দেশবাসীকে করোনাবিধি মেনে আনন্দ করার পরামর্শ দিলেন মোদী।

বছর শেষে উৎবের আমেজ দেশজুড়ে। বড়দিন, নিউইয়ার মিলিয়ে উৎসবের আমেজ চারিদিকে। কিন্তু এরইমধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টে। চিনে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ ঘিরে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বেড়েছে দেশজুড়ে। ভারতেও ইতিমধ্যেই ৪টি ওমিক্রনের বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টের হসিশ মিলেছে। এই পরিস্থিত মধ্যেই উৎসবে মুখর দেশ। বিভিন্ন রাজ্যে ক্রিসমাস নিউইয়ারে ঘিরে বেশ কিছু জমায়েত হওয়ারও সম্ভাবনা থাকছে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ,'আনন্দ করুন, সতর্ক হয়ে'। রবিবার বছরের শেষ 'মন কি বাত অনুষ্ঠানে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বড়দিনের দিনেই কোভিড নিয়ে দেশবাসীকে বিশেষ বার্তা দিলেন মোদী। বড়দিন ও বর্ষবরণ ঘিরে মানুষের উন্মাদনার দিকে নজর রেখেই সকল দেশবাসীকে করোনাবিধি মেনে আনন্দ করার পরামর্শ দিলেন মোদী।

রবিবার বড়দিনের সকালে বছরের শেষ 'মন কী বাত' অনুষ্ঠানে নমো। রেডিও বার্তায় ফের একবার কোভিড নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন মোদী। মেনে চলতে বললেন মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্বর মতো করোনা বিধিও। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে সে ক্ষেত্রে ভারতে নতুন করে যাতে ভাইরাস সংক্রমণ না ছড়ায় সেবিষয় সতর্ক থাকতে হবে সকলকেই। এদিন 'মন কী বাত' অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন,'এখন দেশবাসী ছুটির আমেজে আছে। আনন্দ করুন কিন্তু সতর্ক হয়ে। নতুন করে যেভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে তাতে মাস্ক প্রা, হাত ধোয়ার মতো সাবধানতাগুলো মানতে হবে। তবেই উৎসবের আনন্দে বাধা পড়বে না। সাবধান থাকলেই সুরক্ষিত থাকা যাবে।'

নতুন করে সংক্রমণ রুখতে মরিয়া প্রশাসন। আন্তর্জাতিক বিমানের ক্ষেত্রে একগুচ্চ নতুন নির্দেশিক দিল কেন্দ্র। অন্য দেশ থেকে ভারতে আসতে হলে যাত্রীদের কোভিডের সবকটি ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই ভাইরাস নিয়ে নতুন করে আশঙ্কার মধ্যে নতুন নির্দেশিকাতে বলেছে, চিনে আচমকাই কোভিডের এই বারবারন্ত ভারতকেও যথেষ্ঠ চিন্তায় ফেলেছে। তাই এবার এখন থেকেই কোভিড বিধিতে জোড় দিচ্ছে সরকার। ভ্রমণের ক্ষেত্রেও এখন থেকে লাগবে ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেট। যদি কোনও ব্যক্তি কোভিড পজিটিভ এলে নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হবে। যাত্রার সময় অবশ্যি মাস্ক পড়তে হবে। মেনে চলতে হবে শারীরিক দূরত্ববিধিও।

এখানেই শেষ নয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা প্রত্যেক যাত্রীর টেমপারেচার মাপবেন। কোভিডের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচ্ছিন্ন করে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ফ্লাইটের মোট যাত্রীর দুই শতাংশকে অবশ্যই বিমানবন্দরে আগমন-পরবর্তী পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং প্রতিটি ফ্লাইটে এই জাতীয় যাত্রীদের চিহ্নিত করা হবে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস দ্বারা, বিশেষভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে, এটি বলেছে। তাদের নমুনা জমা দেওয়ার পর বিমানবন্দর থেকে বের করে দিতে হবে। যদি সংগৃহীত নমুনাগুলির একটিও পজিটিভ আসে তবে সেগুলিকে আরও INSACOG ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্কে জিনোমিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আক্রান্ত ফ্লাইয়ারদের স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা করা হবে।

আরও পড়ুন - 

'বম্ব সাইক্লোন'-এর দাপটে আমেরিকায় ক্রমেই বাড়ছে মৃত্যের সংখ্যা, অন্ধকারেই বড়দিন কাটল মার্কিন বাসিন্দাদের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথায় কাজ হয়েছে, বললেন CIA প্রধান

আজ দিল্লিতে সাংসদদের বৈঠকে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী, কাল কথা অমিত শাহের সঙ্গে