সংক্ষিপ্ত

বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ফোন হ্যাক করা হয় রাজনৈতিক কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরের। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।

বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ফোন হ্যাক করা হয় রাজনৈতিক কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরের। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। দ্য ওয়্যারে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে খবর পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে এই আড়ি পাতার কাজ চলে। 

চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করে দ্য ওয়্যার জানাচ্ছে প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীর ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। দশজন ভারতীয় রয়েছেন সেই তালিকায়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সিকিওরিটি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় তাদের নম্বর। সেখানেই এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। জানা গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের তরফে নজরদারি করার জন্য প্রধান টার্গেট হিসেবে এদের বেছে নেওয়া হয়েছিল। 

ইসরায়েল এনএসও জানিয়েছিল একমাত্র কেন্দ্র সরকারই পারবে পেগাসাস ব্যবহার করতে। সেখানে প্রশান্ত কিশোরের মত রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিস্ট, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের বড় নেতার ফোন হ্যাক করা, তাও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য, একটি মারাত্মক অভিযোগ বলেই মনে করা হচ্ছে। 

প্রশান্ত কিশোরের দাবি যদি এই অভিযোগ সত্যি হয়ে থাকে, তবুও তাতে বিশেষ লাভ করতে পারেনি এর ব্যবহারকারীরা। কারণ বাংলার নির্বাচনে কোনওভাবেই এর প্রভাব পড়েনি।  জানা গিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের ফোন ২৮শে এপ্রিল হ্যাক করা হয়। আট দফা বিধানসভা নির্বাচনের শেষ দফার আগের দিন হ্যাক করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে জুন মাসের ১৪ দিন ও জুলাই মাসে ১২ দিন হ্যাক করা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের ফোন বলে খবর। এমনকী ১৩ই জুলাই যখন দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে তিনি সাক্ষাত করেন, তখনও তাঁর ফোন হ্যাক করা হয় বলে সূত্রের খবর। 

 তবে সোমবার তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করেছে পেগাসাস। এই ইসরায়েলি এনএসও গ্রুপ জানিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সাংবাদিক এবং কর্মীদের ফোন হ্যাক করার যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর।যে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার সঙ্গে সংস্থার কোনও সম্পর্ক নেই। 

এক বিবৃতি প্রকাশ করে ওই ইসরায়েলি সংস্থা জানিয়েছে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। এরকম কোনও ঘটনার সঙ্গে পেগাসাস যুক্ত নয়। পুরোপুরি অনুমানের ওপর তৈরি করা হয়েছে এই ধরণের অভিযোগ। এনএসও গ্রুপ জানিয়েছে যে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোনও সত্য ভিত্তি নেই এবং সংস্থাটি মানহানির মামলা করার কথা ভাবনা চিন্তা করছে।