সংক্ষিপ্ত
সোমবার অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সংসদের নতুন সাংসদদের সঙ্গে সবার পরিচয় করাতে শুরু করেন। এই সময়েই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ।
পরিস্থিতি যে উত্তপ্ত হবেই, তা জানা ছিল। সেই নিয়ম মেনেই সংসদে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধীদের হট্টগোলে সোমবার দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হল অধিবেশন। যে বিষয়টি সবচেয়ে নজরে পড়ল, তা হল কথা বলার সুযোগই পেলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সংসদের নতুন সাংসদদের সঙ্গে সবার পরিচয় করাতে শুরু করেন। এই সময়েই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ।
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন চলতি বছরে সংসদে পা রেখেছেন বেশ কয়েকজন মহিলা, দলিত, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ। যা দেশের কাছে গর্বের। এমন অনেক পরিবার থেকে সাংসদরা এসেছেন, যাঁদের জীবিকা চাষাবাদ। রয়েছেন অনগ্রসর সম্প্রদায়ের সাংসদও। সংসদে সকলের সমান অধিকার, তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চলতি বছরে।
তবে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পূর্ণ না হতেই বিরোধীদের হট্টগোল শুরু হয়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, দেশের করোনা পরিস্থিতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে মরিয়া বিরোধীদের ভূমিকার নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন দেখা যাচ্ছে মহিলা, দলিত, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদদের দেখে খুশি হননি অনেকেই। সংসদ সেজন্য লজ্জিত। সেই সব সাংসদরা এতটাই অখুশি যে নতুন সাংসদদের পরিচয় পর্যন্ত জানতে চান না তাঁরা।
সংসদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলার সুযোগ পর্যন্ত দিচ্ছেন না বিরোধীরা। এই ধরণের আচরণ সংসদে মেনে নেওয়া যায় না। এরপরেই দুপুর দুটো পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল হতে পারে সংসদ, সে সম্পর্কে জানা ছিল কেন্দ্রের। তাই আগে থেকেই হয়ত আবেদন জানিয়ে রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পার্লামেন্ট হাউস কমপ্লেক্সে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী আর্জি জানিয়ে ছিলেন যে কোনও বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে পারেন বিরোধীরা, কিন্তু তার পরিবর্তে কেন্দ্রকে কথা বলার সুযোগ যেন অন্তত করে দেওয়া হয়।
এদিন মোদী বলেন প্রত্যেক সাংসদের কাছে তাঁর আর্জি কেন্দ্র সরকারকে সবরকম কঠিন থেকে কঠিনতম প্রশ্ন করুন, কিন্তু তার উত্তর শোনার মত ধৈর্য রাখুন। সব সাংসদদের কাছে এটাই দাবি নিয়ম মেনে ও গণতন্ত্রের সম্মান রক্ষা করে প্রশ্ন করুন। এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, যাতে সংসদের পরিবেশ নষ্ট হয়। অধিবেশনে সুশৃঙ্খল ভাবে প্রশ্ন করার রীতি মেনে চলতে হবে প্রত্যেককে।