সংক্ষিপ্ত

কমলা হ্যারিস কখনই থুলসেন্দ্রপুরমে যাননি। এই গ্রামে তাঁর কোনও জীবিত আত্মীয় নেই। তবে এখানকার মানুষরা এখনও কমলা হ্যারিসের দিদিমার পরিবাররে শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রেখেছে।

 

দক্ষিণ ভারতের ছোট্ট গ্রাম থুলসেন্দ্রপুরম। সেখানেই দিনভর চলছে কমলা হ্যারিসের জন্য প্রার্থনা। জড়ো হয়েছে গ্রামের মানুষজন। সকলেই চান কমলা হ্যারিসই হোক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমেরিকায় যতটা উৎসহ রয়েছে তার থেকে উৎসহ কোনও অংশে কম নেই তামিল এই গ্রামে। কারণ এই গ্রামের সঙ্গে কমলা হ্যারিসের আত্মিক যোগ রয়েছে। রয়েছে নাড়ির টান। এই গ্রাম তাঁর দিদিমার

জন্মভূমি।

কমলা হ্যারিস কখনই থুলসেন্দ্রপুরমে যাননি। এই গ্রামে তাঁর কোনও জীবিত আত্মীয় নেই। তবে এখানকার মানুষরা এখনও কমলা হ্যারিসের দিদিমার পরিবাররে শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রেখেছে। আর সেই কারণে গ্রামের বাসিন্দারা চান কমলা হ্যারিসই হোয়াইট হাউসের দখল নিক। গ্রামের এক বাসিন্দার কথায় তাদের গ্রামের পূর্ব পুরুষের এক নাতনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছেন। এটাই তাদের কাছে বড় কথা। আর সেই কারণে তারা চান জয়ী হোক কমলা হ্যারিস।

তবে হ্যারিসের নামের কারণেই এই গ্রাম নিয়ে তৈরি হয়েছে আগ্রহ। সম্প্রতি স্থানীয় একটি ব্যঙ্কের অনুদানে একটি জল সংরক্ষ ট্যাঙ্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কমলা হ্যারিসের আত্মীয়র জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। তাই হ্যারিসের নামের ফলক তাঁরা লাগাতে চান স্থনীয়রা।

হ্যারিসের প্রয়াত মা শ্যামলা গোপালান ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর, তিনি একজন জ্যামাইকান পুরুষকে বিয়ে করেন এবং তারা তাদের মেয়ের নাম রাখেন কমলা। একদম ছোটবেলায় বেড়াতে আসা ছাড়া সেভাবে কমলা হ্যারিস কখনই ভারতে আসেননি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তিনি প্রায়ই তাঁর মায়ের দেশ ভারতের কথা বলতেন। ভারত সম্পর্কে নিজের আবেগের কথাও বলেছেন। কিন্তু একবারও এই দেশ সফর করেননি। মায়ের কথা স্মরণ করেন কমলা হ্যারিস একটি প্রচার ভিডিও করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, তাঁর মা মাত্র ১৯ বছর বয়সে পড়াশুনার জন্য ভারত ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর মা ক্যান্সারের গবেষক ছিলেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।