সংক্ষিপ্ত
- মুম্বইয়ের শহরতলীতে নিজের বাড়ির ছাদেই তৈরি করেছেন বিমান
- নিঁখুত করতে লেগেছে ১৮টি বছর
- অথচ ২০১১ সাল থেকে বিমান ওড়ানোর ছাড়পত্র পাচ্ছিলেন না ক্যাপ্টেন অমল যাদব
- প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে স্বপ্ন সাকার হচ্ছে তাঁর
মুম্বইয়ের শহরতলীতে নিজের বাড়ির ছাদেই তৈরি করেছেন একটি ছয় আসন বিশিষ্ট বিমান। তাকে নিঁখুত করতে ব্যয় করেছেন ১৮টি বছর। ২০১১ সালে এই বিমান তৈরির কাজ শেষ করেছিলেন তরুণ পাইলট ক্যাপ্টেন অমল যাদব। কিন্তু তারপর থেকে সেই বিমান ওড়ানোর জন্য ডিজিসিএ-র অনুমতি মিলছিল না। ৮ বছরের অপেক্ষার শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশেই অবশেষে ডানা মেলছে তাঁর স্বপ্ন।
মুম্বইয়ের শহরতলীতে খুব বড় বাড়ি নয় তাঁর। মুম্বইয়ে জায়গার বড়ই অভাব। কিন্তু বিমান ওড়াতে ওড়াতে ক্যাপ্টেন অমল যাদবের মাথায় ভূত চেপেছিল নিজে নিজেই পরীক্ষামূলকভাবে একটি ছোট বিমান তৈরির। আর সেই ভূত নামতে সময় লেগেছিল ১৮ বছর। কিন্তু তারপর থেকে ডিজিসিএ-র দরজায় দরজায় ঘুরেও বিমানটি ওড়ানোর প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র জোগার করতে পারেননি তিনি। বিষয়টি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নজরে আসে।
এরপরই ফড়নবিশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অমল যাদবের বিমান সম্পর্কে জানান। আর তারপরই মোদী ম্যাজিক। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই তরুণ পাইলটের বিমান ওড়ানোর আবেদন দ্রুত মেনে নিয়েছে ডিজিসিএ। 'ফ্লাইট টু ফ্লাই' ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁর নিজের হাতে তৈরি বিমান ওড়াতে আর বাধা নেই।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে এসে দেখা করেন ক্যাপ্টেন আমল যাদব। তিনি প্রদানমন্ত্রীকে জানান, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিমান তৈরি করে তাকে ওড়ানোটা তাঁর স্বপ্ন ছিল। তা অর্জনে পাশে থাকার জন্য নরেন্দ্র মোদীর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
প্রদানমন্ত্রীও পাল্টা অভিনন্দন জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন অমল যাদব-কে। তাঁর কাহিনি লক্ষ লক্ষ ভারতীয় তরুণদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। তাঁরা দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী হবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।