সংক্ষিপ্ত

PM Narendra Modi: শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনা, বৈঠকের পর প্রাক্তন ক্রিকেটারদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

PM Narendra Modi in Sri Lanka: শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) কলম্বোতে ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য, চামিন্ডা ভাস, অরবিন্দ ডি সিলভা, মারভান আতাপাত্তুদের সঙ্গে দেখা করলেন। তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মোদী ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সফরে রয়েছেন। শুক্রবার কলম্বোতে তাঁর আগমন ২০১৯ সালের পর শ্রীলঙ্কায় তাঁর প্রথম সফর। এই সফরে তিনি ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন। সেবার পাকিস্তানের লাহোরেের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে পাকিস্তান। সেই দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করার পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স (X) হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন, ‘ক্রিকেটের মাধ্যমে বন্ধন! ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এই দল অগণিত ক্রীড়াপ্রেমীর হৃদয় জয় করেছে!’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মুগ্ধ শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা 

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ভারতের সঙ্গহে শক্তিশালী ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। ৩৬০ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৪,০৩৬ রান করা আতাপাত্তু বলেন, 'এটি একটি অসাধারণ বৈঠক ছিল। আমরা ভাগ্যবান। একজন শক্তিশালী নেতা যিনি ভারতকে তার উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন, এমন একজন রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে দেখা করা একটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা আমাদের জন্য সম্মানের বিষয় ছিল।'

 

 

 

মুগ্ধতা প্রকাশ ভাসের

বাঁ হাতি পেসার ভাস, যিনি ১৯৯৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪৩৮ ম্যাচে ৭৬০ উইকেট নিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর ক্রিকেট জ্ঞানের প্রশংসা করেন। এই প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, ‘১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ দল হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে দেখা করা সম্মানের বিষয়। আমরা শুধু খেলাধুলা নিয়ে কথা বলেছি এবং ১৯৯৬ সালে কীভাবে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি এবং কীভাবে আমরা ভারতকে হারিয়েছি (কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সেমিফাইনালে)। প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেট অনুসরণ করেন, তিনি সবকিছু জানেন এবং শুধু নেতা হিসেবেই নন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবেও তাঁর ক্রিকেট জ্ঞান খুবই ভালো। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন আমরা কীভাবে ভারতকে হারিয়েছি। ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রেও ভারত সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমরা যেভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি তা সত্যিই ভালো ছিল।’

 

 

 

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে খুশি ডি সিলভা

ডি সিলভা, যিনি ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো শতরান করেছিলেন তিনিও বলেন, 'তিনি বিশ্বজুড়ে একজন সম্মানিত ব্যক্তি এবং তিনি ভারতের জন্য অনেক কিছু করেছেন। এত বড় দেশে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়া একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এই দেশের উপর তাঁর প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে বেশ ভালো লেগেছে এবং আমরা সত্যিই উপভোগ করেছি।'

 

 

 

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় জয়সূর্য

প্রাক্তন বিস্ফোরক অলরাউন্ডার জয়সূর্য, যিনি ২১,০৩২ রান করেছেন, ৪৩৭ উইকেট নিয়েছেন এবং ৫৮৬ ম্যাচে ৪২টি শতরান করেছেন, তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা সত্যিই খুব ভালো ছিল। আমরা ক্রিকেট, বর্তমান এবং অতীত এবং বর্তমানে আমরা কী করছি সে সম্পর্কে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এটি আমাদের জন্য একটি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, ভারত গড়েছেন এবং ভারতের জন্য কী করেছেন সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন। আমরা জাফনার আন্তর্জাতিক মাঠ নিয়েও আলোচনা করেছি।’ রমেশ কালুভিথারানা, যিনি ১৯৯০-এর দশকে জয়সূর্যর সঙ্গে ওডিআই ব্যাটিংয়ে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন এবং টেস্ট ও ওডিআই মিলিয়ে পাঁচটি শতরান-সহ ৫,৬৪৪ রান করেছেন, তিনিও বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) ক্ষমতায় আসার পর থেকে অনেক কিছু পরিবর্তন করেছেন। তিনি শ্রীলঙ্কার জন্যও অনেক কিছু করেছেন। ভারত সব সময় সংকটের সময়ে, ক্রিকেটেও আমাদের পাশে ছিল।’ কুমারা ধর্মসেনা, যিনি ১৯৯৬ সালের দলের সদস্য ছিলেন এবং পরবর্তীতে একজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হয়েছিলেন, তিনি বলেন, 'আমি প্রথম তাঁর মতো একজন নেতা দেখলাম। তিনি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ক্যাজুয়াল ছিলেন এবং এটি অসাধারণ ছিল। আমি একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই যে শ্রীলঙ্কার প্রতিবেশী হিসেবে তিনি আমাদের অনেক সমর্থন দিয়েছেন।'

 

 

ভারত-শ্রীলঙ্কার উন্নত সম্পর্ক

বছরের পর বছর ধরে ভারত-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। উভয় দেশ অসংখ্য দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং আইসিসি টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ২০১১ সালের আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০১৪ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল। দুই দেশ আগামী বছরের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে।

 

 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।