সংক্ষিপ্ত

  • প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রনেতাদের ফোন প্রধানমন্ত্রীর
  • নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদী
  • নতুন বছরে আরও সুদৃঢ় হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আশা প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
     

নতুন বছরের শুভেচ্ছাতেও পাকিস্তানকে উহ্যই রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাকিস্তানের প্রতি যে তাঁর সরকার কোনওরকম নরম মনোভাব দেখাবে না, বছরের প্রথম দিনই তা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। বুধবার প্রতিবেশী ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল এবং মলদ্বীপের রাষ্ট্রনেতাদেরকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কোনও কথাই বলেননি নরেন্দ্র মোদী। 

বুধবার ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়েল ওয়াংচুক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষ এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সঙ্গে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। 

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দ রাজাপক্ষ এবং মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সোলিহকে ফোন করেও ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। 

টুইট করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বলা হয়, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের এবং দেশবাসীর হয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।' একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, আঞ্চলিক শান্তি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার প্রতি ভারত যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি থেকে যে ভারত সরে আসছে না, তাও প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রনায়কদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

এর পাশাপাশি আগামী তিন বছরের জন্য আওয়ামি লিগের সভানেত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান নরেন্দ্র মোদী। একই ভাবে নেপাল, শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশগুলির প্রধানদের সঙ্গে কথা বলার সময় নতুন বছরে ভারতের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

একদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি, অন্যদিকে দক্ষিণ  পূর্ব এশিয়ায় চিনের বাড়তে থাকা প্রভাব আটকানো, এই দুই লক্ষ্যে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা মোদী সরকারের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। নতুন বছরের প্রথম দিন শুভেচ্ছা জানানোর মধ্যে দিয়ে সেই কাজটাই শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।