করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেও থামছে না সিএএ বিতর্ক১৫ জন অমুসলিম শিক্ষার্থী-কে পরীক্ষায় ফেল করানোর অভিযোগ উঠলঅভিযোগ জামিয়া মিলিয়ার এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধেসাম্প্রদায়িক বৈষম্যে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল 

করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেও থামছে না সিএএ বিতর্ক। এবার, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-কে সমর্থন করার জন্য ১৫ জন অমুসলিম শিক্ষার্থী-কে ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষায় ফেল করানো এবং সাম্প্রদায়িক বৈষম্য উস্কে দেওয়ার অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পক্ষ থেকে তাঁর আচরণকে গুরুতর অপরাধ বলে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন তাঁকে বরখাস্ত থাকতে হবে।

বৃহস্পকিবারই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবরার আহমদ একটি টুইট করে বলেছিলেন, ১৫ জন অমুসলিম ছাত্র ছাড়া তাঁর সব ছাত্ররাই পাস করেছে। ওই ১৫ জনকে আবার পরীক্ষা দিতে হবে। যদি কেউ এই ঘটনার প্রতিবাদ করে, তাহলে তাঁর সমর্থনে ৫৫ জন ছাত্রছাত্রী থাকবেন বলেও দাবি করেন তিনি। প্রতিবাদ না থামালে সংখ্যালঘুরা শিক্ষা দেবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য প্রতিবাদের চিহ্ণ মুছে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।

Scroll to load tweet…

এই টুইটটি প্রকাশ পেতেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সোরগোল তৈরি হয়। একযোগে সকলে ওই অধ্যাপকের সমালোচনা করেন। চাপের মুখে তাঁর পোস্টটি ব্যঙ্গাত্মক এবং তার টুইটটি আসলে 'প্যারোডি' বলে অবস্থা সামাল দিতে চেষ্টা করেন আবরার আহমদ। কিন্তুস ততক্ষণে তাঁর টুইটটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত অ্যাকাউন্টটিই ডিলিট করে দেন ওই অধ্যাপক।

সমালোচকরা একযোগে বলছেন, টুইটটি ব্যাঙ্গাত্মক হলেও একজন অধ্যাপক-এর কাছ থেকে এমন স্পর্ষকাতর বিষয়ে ব্যঙ্গ মোটেই কাম্য নয়। সিএএ-২০১৯ আইনে যে 'অমুসলিম' শব্দের ব্যবহার নিয়ে সংবিধান বিরোধিতার অভিযোগ উঠেছে, সেই শব্দই এই টুইটে ব্যবহৃত হয়েছে। অধ্যাপকরা অনেক শিক্ষার্থীদের কাছেই রোল মডেল। কাজেই তাঁদের সতর্ক হওয়াটা ভীষণ জরুরি। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত নম্বর গেটের বাইরে চলা জামিয়া সমন্বয় কমিটির অবিরাম বিক্ষোভ সাময়িকভাবে স্থগিত করার পরই অধ্যাপকের এই টুইটটি আসে।

Scroll to load tweet…

এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিন এক টুইটে বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, তাঁদের এক অধ্যাপক পাবলিক ফোরামে যা বলেছেন, তাকে তারা ভয়ানক দুরাচার হিসাবে দেখছে। এতে করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তাই ঘটনার তদন্ত সেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।