সংক্ষিপ্ত
- দেশের সমস্ত নাগরিকদের সুবিধের কথা ভাবছে কৃষকরা
- দাবি করা হয়েছে আন্দোলকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে
- ১১-৩টে পর্যন্ত স্থির করা হয়েছে ভারত বনধের সময়
- বনধ মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে দিল্লি পুলিশ
মঙ্গলবার ভারত বনধ। সোমবার আরও একবার সেকথা স্মরণ করিয়েদিলেন দিল্লির উপকণ্ঠে বিক্ষোভকারী কৃষকরা। এদিন তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ ১২ দিনে পড়ল। ক্রমশই সমর্থন বাড়ছে বলেও দাবি করা হয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকদের তরফে । প্রতিবাদী কৃষকরা এদিন জানিয়েছেন, আগামিকাল তাঁরা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করবে। দেশের মানুষকে সমস্যায় না ফেলেই এই বনধ সফল হবে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। আর সেই কারণেই বনধের সময় ১১টা-৩টে পর্যন্ত। তাঁদের দাবি অফিস যাত্রীরা অফিসে পৌঁছে যাবেন। তারপরই শুরু হবে বনধ। তাঁরা আরও জানিয়েছেন জরুরি পরিষেবা যাতে সচল থাকে সেই দিকেও গুরুতর নজর দেওয়া হবে। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাজেশ টিকাইট বলেছেন, তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠানকেও বনধের আওতার বাইরে রেখেছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন তাঁরা সাধারণ মানুষের সমস্যার কোনয়ও কারণ হতে চান না।
অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বনধ মোকাবিলায় তারাও তৈরি হয়েছে। জাতীয় রাজধানীর সাধারণ মানুষরা যাতে কোনও সমস্যার মধ্যে না পড়ে সেদিকেও নজর দিবে দিল্লি পুলিশ। জোর করে দোকান বাজার বন্ধ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে কৃষকদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করে সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু নতুন তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে এখনও অনড় রয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকরা। আগামী ৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আরও একদফা বৈঠকে বসবে কৃষকরা। একটি সূত্র বলছে কৃষকরা বৈঠকে বসার আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কৃষি বিল সংশোধনী খসড়া চেয়ে পাঠিয়েছে। তাদের দাবি ছিল সরকার খসড়াটি পাঠালে তারা আলোচনায় যাওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করবে। কিন্তু সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের এই প্রস্তাবে রাজি নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, কৃষকরা আলোচনায় আসার আগে খসড়া পাঠানোর কোনও অর্থ হয় না। কৃষকরা আইনের যে সংশোধনী চায় সে বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্কের জন্য তাদের স্বাগত জানান হয়েছে।