সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাস মহামারিতে সবচেয়ে বিপদে পরিযায়ী শ্রমিকরা

তারপরেও তাদের ঠকাতে বাধছে না সমাজের এক শ্রেণির

বাড়ি ফেরার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরদ্ধে

তাঁকে খুঁজছে পুলিশ

 

করোনাভাইরাস মহামারি এবং তার বিস্তার রুখতে লকডাউন। এই জোড়া বিপর্যয়ে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। নানাভাবে তাঁরা বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, এই বিপদের সময়েও তাদের শোষণ করতে দ্বিধা করছেন না সমাজের এক শ্রেণির মানুষ। উত্তরপ্রদেশের একদল শ্রমিককে নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ট্রেনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল পুনের এক মহিলার বিরুদ্ধে।

গত মঙ্গলবার রাজেশকুমার শ্যামচরণ গৌতম নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক এই বিষয়ে স্থানীয় হাদাপসর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, রোহিতকুমার, রাজেশকুমার যাদব, বিজয়কুমার, এক মহিলা পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছিল পুষ্পা নামে স্থানীয় এক মহিলা। এই পাঁচ পরিযাসী শ্রমিক-ই লকডাউনের কারণে পুনেতে আটকে পড়েছিলেন। যে করেই হোক তাঁরা ঘরে ফিরতে চেয়েছিলেন।

তাদের এই মরিয়া ভাবকেই কাজে লাগায় অভিযুক্ত পুষ্পা। তাঁদের ট্রেনের পাসের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফর্মপূরণ করিয়ে টাকা নেয় ওই প্রতারক মহিলা। তারপর থেকেই আর তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। রাজেশকুমার শ্যামচরণ গৌতমের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতচীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী প্রতারণার অভিযোগ রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার না করা গেলেও তদন্ত চলছে।

সেইসঙ্গে, কোনও বেসরকারি বা অননুমোদিত ব্যক্তিকে এইভাবে টাকা না দেওয়ার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে আবেদন করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। পুনে পুলিশ জানিয়েছে, ৯ মে থেকে ২৬ মে-র মধ্যে প্রায় ৫০,০০০ পরিযায়ী শ্রমিককে তাদের নিজ রাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাঁচটি ট্রেন শ্রমিকদের পুনে থেকে ওড়িশার বালাসোর, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর (দুটি ট্রেন), বিহারের কাটিহার এবং ঝাড়খন্ডে নিয়ে গিয়েছে। ট্রেনে ওই শ্রমিকদের জন্য মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার, খাবার ও জল সরবরাহ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি।