সংক্ষিপ্ত
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সেবাইতদের আপত্তিতে আপাতত ইঁদুর তাড়ানোর যন্ত্রের ব্যবহার বন্ধ। ভাগবানের নিদ্রায় ব্যাঘাত হবে বলেও আপত্তি মন্দির কর্তৃপক্ষের।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির , বহু পুরনো। ইঁদুরের উপদ্রোবে অতিষ্ট ভক্তবৃন্দ। শুধু ইঁদুর নয়, আরশোলা-সহ একাধিক পোকামাকড়ের আক্রমণ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কিন্তু এই কথা জানতে পেরে জগন্নাথদেবেরই এক ভক্ত মন্দির কর্তৃপক্ষকে ইঁদুর তাড়ানোর যন্ত্র দান করেছিলেন। অত্যাধুনিক ইঁদুর তাড়ানোর যন্ত্র 'আর্থ ইনোভেশ' মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে এলেও তা ইনস্টল করতে বড়ই অনীহা মন্দিরের সেবাইততে। তাঁদের কথায় জগন্নাথ দেবের বিশ্রামের স্থান হিসেবেই পরিচিত পুরীর মন্দির। সেখানে জগন্নাথদেব, বলরাম ও শুভদ্রা দ্বিপ্রাহরিক আহার করে বিশ্রাম করেন। কিন্তু ইঁদুর তাড়ানোর যন্ত্র বসালে জগন্নাথদেবের ঘুমের ব্যাঘাত হবে- তাতেই অনীহা সেবাইতদের।
ভক্তের দেওয়া যন্ত্র মন্দিরে বসানোর আগেই অবশ্য পরীক্ষার জন্য একটি অফিসে বসানো হয়েছিল। সেখানে এটি ব্যবহার করে দেখাও হয়েছে। ইঁদুর তাড়াতে এই যন্ত্র পুরোপুরি সফল। তারপরই এটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু সেই সময়ই বাধা দেয় সেবাইতরা। তাঁদের কথায় মেশিন বসালে তাতে সর্বগা গুনগুন করে একটি মৃদু আওয়াজ হবে। যা দেবতার শান্তি ও নিদ্রা দুইয়েরই ব্যাঘাত ঘটাবে। সেই কারণেই মন্দিরের গর্ভগৃহে এই মেশিন ইনস্টলেশনেই বাধা দিয়েছে সেবাইতার। দেবতাকে বিরক্ত করতে চায় না বলেই মেশিন বসাতে অনীহা বলেও জানিয়েছেন এক সেবাইত ।
প্রথা অনুসারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে তিন দেবতা দুপুরে অবস্থান করেন। জগন্নাথ , সুভদ্রা আর বলভদ্র বা বলরাম যখন ঘুমাতে যান তখন গর্ভগৃহ সম্পূর্ণ শান্তি বিরাজ করে। পুরো গর্ভগৃহ খালি করে দেওয়া হয়। অন্ধকার করে দেওয়া হয়। সেই সময় মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ থাকে। এই সময় সেখানে প্রবেশের অধিকার কারও নেই। পুরাণ গাথা অনুযায়ী এই সময় মন্দিরের গর্ভগৃহের পাহারায় থাকে জয় -বিজয় নামের দুই দ্বাররক্ষী।
সেবাইতের আপত্তির কারণ হিসেবে স্থানীয় প্রশাসক জিতেন্দ্র সাহু জানিয়েছেন, যন্ত্র নিয়ে সেবাইতদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু যন্ত্র বসানোর পর তা চালু করা হলেই একটি মৃদু আওয়াজ হবে। গুন গুন এই আওয়াজ দেবতার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে। সেই কারণেই সেবাইতরা গর্ভগৃহে মেশিন বসাতে রাজি নয়। তিনি আরও বলেছেন, জগন্নাথ মন্দিরের ইঁদুর তাড়াতে সেবাইতদের সঙ্গে সরকারের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। ইঁদুর মারার ওষুধ ব্যবহার না করা নিয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও মেশিন বসানে নিয়ে সেবাইত পক্ষের আপত্তিতে বিষয়টি কার্যকর করা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ
লন্ডনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের অফিসে খালিস্তানিদের তাণ্ডব, ব্রিটেনের কূটনীতিকতে ডেকে প্রশ্ন ভারতের
আবারও দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, দাবি না মানলে ৩০ এপ্রিল প্রতিবাদ সভার ডাক
Guru Chandal Yoga: মেষ রাশিতে তৈরি হচ্ছে গুরুচণ্ডাল যোগ, ২২ এপ্রিল থেকে সাবধান হন তিন রাশি