আজ রহস্যেমোড়া পুরীর জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার খুলে গেল, সাপেই বাড়ছে আতঙ্ক
- FB
- TW
- Linkdin
জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডা খোলা হল রবিবার, ১৪ জুলাই। পুরীর জেলা শাসক জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই রত্নভাণ্ডার খোলা হবে। তৈরি হয়েছে ১৬ সদস্যের একটি কমিটিও
পুরীর জেলা শাসকের বক্তব্য়
জেলা শাসক জানিয়েছিলেন তাঁরা পুরীর রত্নভাণ্ডার আবারও খোলার জন্য প্রস্তুত। মন্দিরে ঢোকার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেই তাঁরা জগন্নাথদেবের পুরো করে তারপর রত্নভাণ্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এই বিষয়ে সভাপতিত্ব করেন ওড়িশা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ।
সাপ নিয়ে অলৌকিক কাহিনি
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার নিয়ে অনেক অলৌকিক কাহিনি রয়েছে। যারমধ্যে একটি হল সাপ। প্রচলিত মত অনুযায়ী পুরীর রত্নভাণ্ডার পাহারায় রয়েছে সাপ।
সাপ থেকে সতর্ক
কমিটির পক্ষ থেকেও সাপ নিয়ে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলার কথা বলা হয়েছিল। জেলা শাসক জানিয়েছেন, অনুমোদিত কর্মী ও প্রশিক্ষিত সাপুড়ে প্রথম রত্নভাণ্ডারে প্রবেশ করবেন। তারপরই বাকি সদস্যরা সেখানে যাবে। মন্দিরের কোষাগার পুনরায় খোলার জন্যই এই পদক্ষেপ বলেও জানান হয়েছে।
রত্নভাণ্ডারের গঠন
মন্দিরের প্রবীণ পরিচালকের কথায় রত্নভাণ্ডার তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। বাইরের কক্ষে রয়েছে আচার অনুষ্ঠানের জন্য অলঙ্কার। আভ্যন্তরীণ কক্ষে রয়েছে জগন্নাথদেব, সুভদ্রা আর বলভদ্রের অব্যবহৃত গয়না। যা যুগ যুগ ধরে রারা ও ভক্তরা দান করে এসেছে। ভক্তদের দানের অন্যান্য সামগ্রীও রয়েছে।
জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার কেমন
এরআগে ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের কর্তা ও মন্দিরের আধিকারিকরা রত্নভাণ্ডারের মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন। তারই বর্ণনা দিয়ে এক আধিকারিক বলেছেন, রত্নভাণ্ডারের ভিতর পুরো অন্ধকার। কিন্তু সেখানে তারা কোনও সাপ দেখেননি।
বিশেষ সতর্কতা
বিশেষ সতর্কতা হিসেবে রত্নভাণ্ডারে যাওয়ার সময় একটি ওষুধের বাক্স ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
মূল উদ্দেশ্য
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মূল উদ্দেশ্য মেরামতি। পাশাপাশি কাঠাম খতিয়ে দেখা হবে। জগন্নাথদেবের সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কতটা। প্রাচীন ও মূল্যবান কী কী সম্পত্তি সেখানে রয়েছে তাও জানার চেষ্টা করা হবে।
সাপ নিয়ে মিথ
এক আধিকারিক জানিয়েছেন জগন্নাথ মন্দির অনেক পুরনো। তাই ফাটল বা গর্ত থাকতে পারে। সেই কারণে সাপ থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে সাপ নিয়ে যা আলোচনা হচ্ছে তা গুজব ছাড়া আর কিছু নয় বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন ১৯৮৫ সালে তিনি রত্নভাণ্ডে ঢুকেছিলেন।
১৫ দিন খোলা রত্নভাণ্ডার
পুরীর জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার সারা বছরে মাত্র ১৫ দিন খোলা থাকে আর ৩৫০ দিন বন্ধ থাকে। তাই বাইরের ঘরের কোনও সাপ নেই। ৪০০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল পুরীর এই মন্দির।