সংক্ষিপ্ত
- ৭০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আসছে রাফাল
- দীর্ঘ সফরের মাঝে মধ্যগগনে জ্বালানি ভরল রাফাল
- ১২ জন ভারতীয় পাইলট নিয়ে আসছেন ৫টি রাফলাকে
- বুধবারই ‘গোল্ডেন অ্যারো’১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত হবে
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বুধবারই ভারতের মাটিতে নামছে নামছে বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান রাফাল। সোমবারই সেই উদ্দেশ্যে ফ্রান্স থেকে রওনা দিয়েছে ৫টি রাফাল। এনিয়ে এখন সাজসাজ রব আম্বালায়। পাঁচটি আধুনিক যুদ্ধ জাহাজকে স্বাগত জানাতে তৈরি আম্বালা এয়ার ফোর্স স্টেশন।
ইতিমধ্যেই আম্বালা এয়ার ফোর্স স্টেশনের ৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে কোনও ড্রোন ওড়ানো যাবে না বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। কেউ এই নির্দেশ ভাঙলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের ডিএসপি। পাঁচটি রাফাল জেট সোমবার ফ্রান্সের ইসত্রেস বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে ভারতের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। টানা ৭ ঘণ্টা উড়ে ৭,৩৬৪ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে সোমবারই জেটগুলি পৌঁছে গিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আল দাফরা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে মাঝ আকাশে ফুয়েল ভরে ফের ভারতের উদ্দেশ্যে জানা মেলেছে এই আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ।
ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থা দাসোঁর কাছ থেকে মোট ৩৬টি রাফাল জেট কিনছে ভারত। গত নভেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি রাফাল জেট প্রতিররক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের হাতে তুলে দেয় দাসোঁ। এবার মোট ৫টি জেট ভারতে আসছে। তবে আগামী বছরের মধ্যেই ৩৬টি রাফাল ভারতের হাতে চলে আসবে বলে জানা যাচ্ছে।
সাত হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে পাঁচটি রাফাল নিয়ে আসছেন ভারতির পাইলটরাই। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় বায়ুসেনার মোট ১২ জন পাইলট রাফাল ওড়ানোর ট্রেনিং শেষ করেছেন। মোট ৩৬ পাইলটকে প্রশিক্ষণ দেবে দাসোঁ।
ইতিমধ্যে ১০টি রাফাল ভারতের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে পাঁচটি রাফাল জেটকে ফ্রান্সেই রেখে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় পাইলটদের ট্রেনিংয়ের জন্য। এদিকে বুধবার দেশে এসে পৌঁছলে হরিয়ানার আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটির ‘গোল্ডেন অ্যারো’ ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত করা হবে পাঁচটি রাফালকে। দূরপাল্লার দুই ক্ষেপণাস্ত্রযুক্ত করেই ভারতে পাঠানো হচ্ছে রাফালগুলিকে। সব প্রস্তুতি ঠিক থাকলে সাতদিনের মাথায় রাফাল পাঠিয়ে দেওয়া হবে পূর্ব লাদাখে।
রাফাল যুদ্ধবিমানের সঙ্গে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রযুক্তিও যুক্ত করেছে দাঁসো অ্যাভিয়েশন। যে পাঁচটি রাফাল আসছে ভারতের হাতে সেগুলি থেকে মেটিওর ও স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যাবে। সূত্রের খবর, এয়ারবাস ৩৩০ মাল্টিরোল ট্যাঙ্কার ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট উড়িয়ে কীভাবে মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরতে হবে সেই ট্রেনিং নিয়েছেন পাইলটরা।