সংক্ষিপ্ত
- কাশ্মীর নিয়ে মোদী সরকারের পাশে রাহুল গান্ধী
- রাহুলের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তান
- কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, টুইটে জানালেন রাহুল
তাঁর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘে যেতেই কাশ্মীর নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। টুইট করে তিনি জানালেন,মোদী সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাকিস্তান অথবা অন্য কোনও রাষ্ট্রের সেখানে হস্তক্ষেপ করার প্রশ্নই ওঠে না। শুধু তাই নয়, কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন রাহুল।
আরও পড়ুন- সাংবিধানিক বেঞ্চে গেল ৩৭০ ধারার মামলা, কাশ্মীরে ঢুকতে পারবেন সীতারাম ইয়েচুরি
আরও পড়ুন- বিজেপি সভাপতি করা হোক জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপালকে, অধীরের নিশানায় সত্যপাল
মঙ্গলবারই পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি জানান, কাশ্মীর বিষয় নিয়ে তিনি রাষ্ট্রসংঘে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে কাশ্মীরে মানুষ মরছে বলে কয়েকদিন আগে করা রাহুল গান্ধীর করা মন্তব্যকেও হাতিয়ার করেন পাক মন্ত্রী। টুইটারেও নিজের সেই চিঠি পোস্ট করেন শিরিন মাজারি। দেখা যায় রাষ্ট্রসংঘে পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেছেন, 'কাশ্নীরে হিংসার ঘটনা ভারতের মূলস্রোতের রাজনীতিকরা স্বীকার করেছেন। তাঁদের মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রয়েছেন, যিনি নিজে বলেছেন যে কাশ্মীরে মানুষ মরছে।'
পাক মন্ত্রীর এই চিঠির ফলে স্বভাবতই চাপে পড়ে যান রাহুল গান্ধী- সহ স কংগ্রেস। ওয়ানেডে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের মাঝেই টুইট করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন রাহুল। কংগ্রেস নেতা লেখেন, 'এই সরকারের সঙ্গে অনেক বিষয়ে আমার মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু একটা কথা পরিষ্কার করে দিতে চাই। কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আর তা নিয়ে পাকিস্তান বা অন্য কোনও দেশের হস্তক্ষেপের কোনও জায়গা নেই। কাশ্মীরে হিংসা হচ্ছে ঠিক। কিন্তু সেই হিংসা হচ্ছে কারণ তাতে প্রশ্রয় এবং উস্কানি দিচ্ছে পাকিস্তান। যে দেশ গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের প্রধান সমর্থক।' এই টুইটের মধ্যে দিয়ে কার্যত মোদী সরকারেরই পাশে দাঁড়ালেন রাহুল। যেভাবে পাকিস্তান তাঁর মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছিল, তাতে এই পথে হাঁটা ছাড়া সম্ভবত কোনও উপায়ও ছিল না কংগ্রেস নেতার।
রাহুলের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রসংঘে মিথ্যে এবং ভুলে ভরা তথ্য জমা দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের কড়া নিন্দা করে বিবৃতি জারি করেছে কংগ্রেসও। সেখানেও জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মন্তব্য করা হয়েছে।