সংক্ষিপ্ত

  • লাদাখ  ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী
  • শুক্রবার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি
  • সেখানে চিনা আগ্রাসন নিয়ে অভিযোগ রয়েছে
  • সেই ভিডিওর সত্যতা সামনে আসতেই বিপাকে কংগ্রেস নেতা

লাদাখ ও চিন ইস্যুতে একের পর এক ট্যুইট করে চলেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। শুক্রবার লাদাখ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর ওই দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করতে দেখা গিয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। আর এই ভিডিও পোস্ট নিয়েই এবারে বেশ বেকায়দায় কংগ্রেস সাংসদ।

করোনাভাইরাস হোক বা লকডাউন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী  এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যেকার রাজনৈতিক তর্জা চলতেই থাকে। এবার লাদাখ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একের পর এক প্রশ্নবানে বিদ্ধ করতে শুরু করেছেন রাহুল। কিন্তু সম্প্রতি নিজের দেওয়া চালে নিজেই বেমালুম ঘোল খেলেন কংগ্রেস নেতা। প্রধানমন্ত্রীকে জব্দ করতে গিয়ে, উল্টে নিজেই চাপে পড়ে গেলেন রাহুল।

লাদাখে ভারত চিন সীমান্ত  বিবাদ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে দুই দেশ। তার প্রভাব পড়েছে এদেশের রাজনৈতিক মহলেও। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার আচমকাই লাদাখে উড়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়ে সেনাদের সঙ্গে  বেশ কিছুটা সময় কাটান তিনি। এমনকি আহত জওয়ানদের সঙ্গে দেখাও করেন মোদী। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বলে দাবি করা হয়। লাদাখ থেকে চিনের সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা যায় মোদিকে। 

এই সবের মধ্যেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চাপে রাখতে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করনে। যেখানে বেশ কয়েকজন লাদাখির বক্তব্য তুলে ধরা হয়। যেখানে তাঁরা চিনা আগ্রাসন নিয়ে অভিযোগ করছেন। যার জেরেই রাহুল প্রধানমন্ত্রীকে ফের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। নিজের গুগলি নিজের দিকে বাউন্স খেয়ে ফিরে আসল।

 

 

ভিডিওটিওতে   বেশ কয়েকজন লাদাখি মানুষ অভিযোগ করছেন, চিন নাকি লাদাখের বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে। রাহুল সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার পর থেকেই রিট্যুইট এবং লাইকের বন্যা বয়ে যায়। কিন্তু সত্য ঘটনা সামনে আসতেই বেকায়দায় পড়ে যান কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।

 

ভিডিওতে থাকা লাদাখবাসীর আসল পরিচয় সামনে আসতেই রুমাল থেকে বেড়াল বেড়িয়ে পড়ে। দেখা যায় ভিডিওতে  লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে অভিযোগ করা মানুষগুলি আসলে  কংগ্রেস বা তার শাখা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্ব। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর  নামগ্যাল দুরবুক, লেহ ইউনিটের জেলা যুব কংগ্রেসের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট দোর্জয় গ্যালস্টন, লাদাখের কংগ্রেসের যুব শাখার সাধারণ সম্পাদক তুন্ডুপ নুবু , লাদাখ মিউনিসিপ্যাল কমিটির সভাপতি ডঃ ইশে নামগাল , হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসের ছাত্র শাখার সাধারণ সম্পাদক সচিন মেরুপা। এই জারুজুরি সামনে আসতেই এবার বিপাকে খোদ সোনিয়া পুত্র।