সংক্ষিপ্ত
রাজস্থান থেকে এদিন মধ্যপ্রদেশের প্রবেশ করেছে ভারত জোড়ো ন্যয় যাত্রা। সেখানেই রাহুল গান্ধী এমএসপি ও বর্ণশুমারির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এবার লোকসভা নির্বাচনের ডঙ্কা বাজিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের ইস্তাহারে অগ্রাধিকার পাবেন কৃষকদের আইনত নূন্যতম সহায়ক মূল্য। পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোট যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে সরকারের প্রথম কাজগুলির মধ্যে একটি হবে বর্ণশুমারি। তিনি এদিন বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, বর্তমান সরকার শিল্পপতিদের জন্য কাজ করছে। আর সেই কারণে দেশের কৃষকদের স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে।
রাজস্থান থেকে এদিন মধ্যপ্রদেশের প্রবেশ করেছে ভারত জোড়ো ন্যয় যাত্রা। সেখানেই রাহুল গান্ধী এমএসপি ও বর্ণশুমারির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ আর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে ভাল নেই। গোয়ালিয়রের একটি সভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টার্গেট করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ১০ বছরে ১৫ জন শিল্পপতির ১৬ লক্ষ কোটি টকার ঋণ মকুব করেছে। কিন্তু কৃষকদের এমএসপি দিতে অস্বীকার করে। সেখানেও তিনি পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের আন্দোলনের কথা স্মরণ করেন।
রাহুল গান্ধী বিজেপির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ আর বিদ্বেশ ছড়ানোর জন্যও দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্যই হল মানুষের মধ্যে ভালবাসার সঞ্চার করা। তিনি বলেন, দেশের ২২ জন ধনী ব্যক্তি অর্ধেক জনসংখ্যার মালিকানাধীন সম্পদ ও ৬০ শকাংশ অর্থের অধিকারী। দেশের সাধারণ মানুষ ক্রমশই গরীব হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, ৪০ বছরে দেশের বেকারত্ব সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। এই দেশের বেকার সংখ্যা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের তুলনায় বেশি বলেও দাবি করেন।
জাত ইস্যুতেও রাহুল গান্ধী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ৯০ জন আইএএস-এর মধ্যে যারা সরকার চালায় তাদের মধ্যে মাত্র তিনজনই অভিসি ও দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। তিনি আরও বলেনস বাজেটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তাদের কোনায় বসিয়ে রাখা হয়। পিছিয়ে পড়া আধিকারিকদের মূলত মনরেগা, শ্রমিক জাতীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বলেন বর্নশুমারি একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ। এটির মাধ্যমে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে আনা যাবে বলেও তিনি মনে করেন।