সংক্ষিপ্ত

রাহুলের এই এক লাইনের শুভেচ্ছাবার্তাকে অনেকেই কটাক্ষ করে বলেছেন, কোনওমতে একলাইনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। আবার রাহুলপন্থীদের মতে এটাই সাংসদের সৌজন্যতা।

 

কখনও 'জাদু কি ঝাপ্পি' আবার কখনও সৌজন্য বিনিময়, রাজনীতির ময়দানে তাঁদের চির শত্রুতা। আবার সৌজন্য বিনিময়ের ক্ষেত্রেও একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোদী ও রাহুল। প্রধানমন্ত্রীর ৭৩ তম জন্মদিনে আবারও সেই প্রমাণ পাওয়া গেল। জন্মদিনের সকালে মোদীকে শুভেচ্ছা জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে তিনি লিখলেন,'জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।'

 

 

রাহুলের এই এক লাইনের শুভেচ্ছাবার্তাকে অনেকেই কটাক্ষ করে বলেছেন, কোনওমতে একলাইনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। আবার রাহুলপন্থীদের মতে এটাই সাংসদের সৌজন্যতা।

প্রসঙ্গত, পালিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন। তিনি একদিকে শক্তিশালী বিজেপি নেতা, অপরদিকে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি রাজনীতির ইতিহাসে সাধারণের থেকে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা ও সমর্থন পেয়েছেন। আজ এই বিশেষ দিনে তিনি এক্সপ্রেক্স ইওর সেবা ভব প্রচার করবেন। এই দৃঢ় মনস্ক ব্যক্তিকে সাধারণ মানুষ বারে বারে আবেগপ্রবণ হতে দেখেছেন। ২০১৪ সালের ২১ মার্চ- গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৮৪ সালের পর লোকসভায় বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ার পর মোদি সংসদর বক্তব্য রাখেন। তিনি প্রথমবার সংসদে প্রবেশ করেন। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।

নোটবন্দীকরণ সংক্রান্ত বিষয় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। সে সময় এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েন। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন তিনি। সে সময় মোদির সমালোচনা হয় সর্বত্র। তিনি বলেন, কালো টাকা দূর করার জন্য আমাকে ৫০ দিন দেওয়া হয়েছিল। আমি জানি কারা আমার বিরুদ্ধে ছিলেন। আমি এই চেয়ারে বসার জন্য জন্মাইনি। দেশের জন্য জীবন দিয়েছি। বলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।