সংক্ষিপ্ত
শ্রমিক ট্রেনের টিকিটের দাম দেবে না কেন্দ্র
সব দায়িত্বই নিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে
রবিবার নতুন নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
লকডাউন শুরু হওয়ার প্রায় ৪০ দিন পরে অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। গত শুক্রবার থেকে চালু করা হয়েছে শ্রমিক ট্রেন। এই ট্রেনে করেই ভিন রাজ্যে আটকে পড়া অভিবাসী শ্রমিক, পড়ুয়া আর পর্যটকরা বাড়ি ফিরতে পারবেন। শুক্রবারই কেন্দ্রের পক্ষে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে অভিবাসীদের জন্য রেল মন্ত্রক ট্রেন চালালেও টিকিটের দাম দিতে হবে রাজ্যকে। রবিবার আরও একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
রেল মন্ত্রকের নির্দেশিকা:
সেই নির্দেশিকায় জানান হয়েছে ট্রেনে ৯০ শতাংশ আসন ভর্তি হতে হবে।
রেলের তরফ থেকে ছাপান টিকিট দিয়ে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের হাতে। অভিবাসী শ্রমিক, পড়ুয়াদের মধ্যে সেই টিকিট বিতরণ করবে স্থানীয় প্রশাসন। তারপর সংগৃহীত অর্থ তুলে দিতে হবে রেলের হাতে।
স্টেশনে নিয়ে আসা থেকে ট্রেনে তুলে দেওয়া পর্যন্ত অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের।
রাজ্যগুলি ছাড়পত্র দিলে ও বৈধ টিকিট থাকলে তবেই অভিবাসীদের সফরের অনুমতি দেবে রেল।
অভিবাসীদের জন্য বিশেষ ট্রেন গন্তব্য ছাড়া অন্য কোনও স্টেশনে থামবে না। শুধুমাত্র সিগনাল না পেলে থামতে পারবে।
রাজ্যকেই অভিবাসীদের সফরের সমস্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
যে স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়বে সেখানেই অভিবাসীদের খাবারের প্যাকেট ও জলের বোতল দিতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে।
১২ ঘণ্টার যাত্রাপথ হলে তবেই যাত্রীদের একটি সময়ের খাবার দেবে রেল।
৫০০ কিলোমিটারের মধ্যেই যাত্রাপথ সীমিত থাকবে শ্রমিক ট্রেনের।
যাত্রীদের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূল। রাজ্যগুলিকেই তা নিশ্চিত করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে সমস্ত যাত্রী তাদের ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করে রেখেছে।
গন্তব্য স্টেশনে সংশ্লিষ্ট ঘরে ফেরা শ্রমিক ও পড়ুয়াদের জন্য সব করম ব্যবস্থা করে রাখতে হবে রাজ্যগুলিকে। কোনও যাত্রী যদি করোনা আক্রান্ত হয় তবে সেই যাত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দায়িত্বও রাজ্যের। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকেই বাছাইয়ের কাজ করতে হবে একই সঙ্গে যাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করতে হবে।
সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হলে বিশেষ ট্রেন চালান বন্ধ করে দেবে। সমস্ত জোনাল জেনারেল ম্যানেজারের কাছে এই নির্দেশিকা পাঠান হয়েছে।
আরও পড়ুনঃনিরাপত্তা বাহিনীতেও করোনার হানা, পরিচ্ছন্নর করার জন্য বন্ধ করা হল সিআরপিএফ বিল্ডিং ...
আরও পড়ুনঃ করোনাযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে 'রাজসূয় যজ্ঞ' তিন বাহিনীর অভিবাদনের ছবিগুলি দেখুন...
আরও পড়ুনঃ আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যেও শুরু হতে পারে প্লাজমা থেরাপি , তৈরি রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ...
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কেন্দ্রে অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে ট্রেনের ভাড়ানেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে। সমাজবাদী পার্টিরে নেতা অখিলেশ যাদব বলেছেন এতদিন পরে শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। তারপরে তাদের থেকে টাকাও নিচ্ছে। এই ঘটনা খুবই নিন্দাজনক। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও রেল মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। ছত্তিশগড়ের এক আধিকারিক বলেছেন পণ্য পরিষেবা বন্ধ থাকায় কর আদায় তলানিতে ঠেকেছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির ওপর চাপ তৈরি করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে অনেক বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যই পিএম কেয়ারস ফান্ডের প্রয়োজনিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।