সংক্ষিপ্ত
- একটানা বর্ষণে প্রায় সপ্তাহ ধরি বিধ্বস্ত মুম্বই ও মহারাষ্ট্র
- এখন পর্যন্ত জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ জনের
- বুধবারও প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়েছিল
- এই মুহূর্তে বর্ষণের প্রকোপ কমেছে
গত এক সপ্তাহ ধরে চলা প্রবল বর্ষণের পরে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো বানিজ্যনগরী মুম্বই। আবহাওয়া দফতরের সূচনা অনুযায়ী আগামী এক থেকে দুই-দিন অতি ভারি বৃষ্টির বদলে মুম্বই-সহ শহরতলী অঞ্চলে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। কয়েকদিন আগে আবহাওয়া দফতর থেকেও জানানো হয় যে ৪ এবং ৫ই জুলাই মুম্বই এবং শহরতলী জুড়ে বিক্ষিপ্ত ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের নতুন পূর্বাভাসের ফলে হাফ ছেড়ে বাঁচলেন আম-মুম্বইকাররা।
বুধবার হাওয়া অফিসের সান্তাক্রুজ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে মাত্র ৪.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিভুক্ত হয়। যা ২৪ ঘন্টা আগে হওয়া ২৪মিমি র থেকে অনেকটাই কম। একই ভাবে কোলাবা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে মঙ্গলবারের তুলনায় প্রয় ৩৯ মিমি কম বৃষ্টিপাত নথিভুক্ত হয়।
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক সুভাঙ্গী ভূতে জানিয়েছেন যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার ফলে, অতি ভারি বৃষ্টির স্থানে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও জানান যে, দক্ষিণ গুজারাটের ওপর তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি এখনও অবস্থান করছে। যদিও তা উত্তর অক্ষরেখা বরাবর সরে গিয়েছে। এাছাড়াও দক্ষিণ মহারাষ্ট্র উপকূল থেকে কেরল অবধি একটি অফশোর ট্রাফের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে । তিনি আরও জানান যে গত দুই দিনের মত ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। যদিও কিছু অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত ভাবে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এখনও অবধি কোলাবা কেন্দ্রে প্রায় ৬২৩.৩মিমি বৃষ্টিপাত নথিভুক্ত হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২১মিমি কম, আর সান্তাক্রুজ কেন্দ্রে প্রায় ১০১৬.৪মিমি বৃষ্টিপাত নথিভুক্ত হয়েছে যা স্বাভাবিকের থেকে ৪০২মিমি বেশি! ২৮শে জুন থেকে শুরু হওয়া ভারি বর্ষণের ফলে ২ রা জুলাই সকাল ৮.৩০ অবধি মুম্বাই শহরে রেকর্ড ৭৯৪মিমি বৃষ্টিপাত হয়, যা কিনা গোটা জুলাই মাসের গড় বৃষ্টিপাতের প্রায় সমান।গত ২৪ ঘণ্টায় হওয়া ৩৭৫.২মিমি অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ৪৫ বছর আগের রেকর্ড ভেঙ্গে গিয়েছে।