সংক্ষিপ্ত
- হিন্দু এবং মুসলিমদের জন্য পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা
- গুজরাতে করোনা রোগীদের জন্য ব্যবস্থা করেছিল এক হাসপাতাল
- এবার রাজস্থানে করোনা আক্রান্ত মুসলিমদের দেখভালে আপতি
- স্বাস্থ্যকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জড়িত ছিলেন চিকিৎসকও
দেশে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে তালিকার প্রথম দিকে রয়েছে রাজস্থান। পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজ্যে যখন ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণ তখন স্বাস্থ্যকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজস্থান জুড়ে। করোনা আক্রান্ত মুসলিমদের চিকিৎসা করা হবে না, এই নিয়েই চিকিৎসক ও ২ স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে কথোপকথনের স্ক্রিনশট ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের এই কথোপকথন সামনে আসতেই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। এদিকে গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তরফে জানান হয়েছে, ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটটি গত এপ্রিল মাসের। তখন তবলিঘি জামাতের সদস্যরা ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় ফের নতুন রেকর্ড দেশের, চিনকে একাই টপকে গেল মহারাষ্ট্র
দেশজুড়ে ধর্মস্থান খুলতেই করোনা ভীতি ভুলে উপচে পড়ল ভিড়, স্রোতের বিপরীতে হাটলো ওড়িশা
মাত্র ৩ মাসেই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে জিত, এবার করোনা মুক্ত রাষ্ট্র হল নিউজিল্যান্ড
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজস্থানের চারু জেলার শ্রীচাঁদ বরদিয়া রোগ নিদান কেন্দ্র হাসপাতালের এক ডাক্তার ও দুই স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে এই কথোপকথন চলে। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে এক ল্যাব টেকনিশিয়ান লেখেন, “আমি আজ থেকে শপথ করছি কাল থেকে কোনও মুসলিম রোগীর এক্স-রে করব না।” আরেকটি মেসেজে এক চিকিৎসক লেখেন, “কাল থেকে কোনও মুসলিম রোগীকে আমি দেখব না।” এই মেসেজের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিপত্তি বাঁধে।
ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।এদিকে গোটা ঘটনায় শ্রীচাঁদ বরদিয়া রোগ নিদান কেন্দ্রের কর্তা ড. সুনীল চৌধুরি জানান, “সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কথোপকথনের জন্য আমি দুঃখিত। কোনও বিশেষ ধর্মকে আমরা আঘাত করতে চাইনি। ভবিষ্যতে আমার সংস্থার কর্মীরা কোনও অভিযোগের জায়গা দেবেন না।” এদিকে ফাঁস হওয়া হোয়াটস্যাপ চ্যাটে নাম জড়িয়েছে ড. সুনীল চৌধুরির স্ত্রীরও। যিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই মহিলা চিকিৎসক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হিন্দু এবং মুসলিমদের জন্য পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করেছিল একটি হাসপাতাল। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল গোটা দেশে ।