শচীন পাইলট এখনও দিল্লিতেই রয়েছেনহুইপ জারি করে বৈঠক ডেকেছেন অশোক গহলতশচীনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারনি কংগ্রেস নেতৃত্ববিজেপির দাবি রাজস্থানের যোগ্য মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট 

এখনই বিজেপিতে যোগ দেবেন না শচীন পাইলট। সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে জানিয়ে দিয়েছেন পাইলটেরই এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সূত্রের খবর এদিন বিকেলে বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন শচীন পাইলট। তবে সেটি নিছকই ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বলেও জানিয়ে সূত্রে। শনিবার থেকেই দিল্লিতে রয়েছেন শচীন পাইলট। তাঁর জয়পুর ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দলবদলের জল্পনা বাড়তে থাকে। কিন্তু সোমবার শচীন ঘনিষ্ট সেই জল্পনায় উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে সূত্রটি জানিয়েছেন দলবদলের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকলেও এখনই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ইতি টানছেন না। 


রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলত দলীয় বিধায়কদের তাঁর বাড়িতে একটি বৈঠকে ডেকেছেন। বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য হুইপও জারি করা হয়েছে। শচীন শিবিরের বক্তব্য এই হুইপ পুরোপুরি অবৈধ। কারণ বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ রয়েছে। তাই এই সময় কোনও হুইপ জারি করা যায় না বলেই দাবি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসবভনের বৈঠকে শচীন ও তাঁর অধিকাংশ সহযোগী অনুপস্থিত ছিলেন। 

Scroll to load tweet…


গতকাল রাতে শচীন শিবিরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে রাজস্থানে অশোক গহলত সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। বলা হয়েছিল শচীনের পক্ষে কমপক্ষে৩০ জন বিধায়কের সংর্থন রয়েছে। কিন্তু তারপরই কংগ্রেসকে সমর্থনের চিঠিতে ১০৯ বিধয়কের সই সংগ্রহ করে। ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার হল ১০১। কংগ্রেসের মোট আসন ৯৫। আর বিজেপি রয়েছে ৮১। তাই শচীন পাইলট যদি ৩০ বিধায়ক ও কয়েকজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন পান তাহলে অশোর গহলতের রাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। 


গতকালই কংগ্রেস হাইকমান্ড জানিয়েছিল মধ্যপ্রদেশের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেই দিকে নজর দেওয়া হবে। সেই মত বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। সেইমত রাজস্থান কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা অবিনাশ পাণ্ডে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন শচীন পাইলটের সঙ্গে। কিন্তু প্রত্যেকবারই তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। শচীন পাইলট তাঁর টেক্সট ম্যাসেজেরও কোনও উত্তর দেননি বলে জানিয়েছেন। 

Scroll to load tweet…


৪২ বছরের শচীন পাইলটের অভিযোগ রাজ্যরাজনীতিতে তাঁকে ক্রমশই কোনঠাসা করেছেন অশোক গহলত শিবির। রাজস্থান বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দাদের কংগ্রেসকে ক্ষমতা দখলের সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসের দলীয় কোন্দলের কারণেই সরকার পড়ে যেতে বসেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শচীন পাইলটই ছিলেন যোগ্য ব্যক্তি। কিন্তু তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। 

Scroll to load tweet…