সংক্ষিপ্ত
পুলিশ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সমাজকর্মী অবৈধ মদের ব্যবসার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারপরই তার ওপর আক্রমণ করা হয়।
নৃশংস এক অত্যাচারের সাক্ষী থাকল রাজস্থান (Rajasthan)। বুধবার রাজস্থানের বারমের জেলায় একদল অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ী এক তথ্যের অধিকার নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মীকে (RTI)মারধর করে। এখানেই অত্যাচারের শেষ নয়। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত সমাজকর্মীর পায়ে পেরেক ফুটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই আবস্থায় সমাজকর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা রাম গোদারা নামের ওই সমাজকর্মীকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার তার জন্মস্থান পারেউ গ্রামে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। সেখান থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভর্তি কার হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সমাজকর্মী অবৈধ মদের ব্যবসার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারপরই তার ওপর আক্রমণ করা হয়। গোদারার এক সহকর্মী জানিয়েছেন তাঁর ওপর এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ও রাজস্থান পুলিশের শীর্ষ কর্তা ও অন্যান্য আধিকারিকরা একটি রিপোর্ট তলব করেছে।
বারমেরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গোদারার ওপর হামলা করা হয়েছিল। গুরুতর আঘাতের কারণে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে যোধপুরের একটি সরকারে। মেডিক্যাল রিপোর্ট আসার পরই আঘাতের সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল যে বেআইনি মদের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গোদারা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সেটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই অবৈধ মদের ব্যবস্থা।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, সমাজকর্মীর ওপর হামার ঘটনায় যুক্ত রয়েছে বেআইনি মজের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারর জন্য পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
আরেক সমাজকর্মী ওমরাম বানজারা বুধবার রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, গোদারাকে অপহরণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে সফল হয়নি অভিযুক্তরা। তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তার পায়ে পেরেখ ফুটিয়ে অত্যাচার করা হয়। তিনি আরও বলেছেন বেআইনি মদের ব্যবসার পাশাপাশি তিনি কুম্পলিয়া পঞ্চায়েতের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ ও আবগারি দফতের কর্মীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান গোপাল কৃষাণ ব্যাস বিষয়টি নিয়ে পদস্থ আধিকারিকদের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।