সংক্ষিপ্ত

জিএসটি সংগ্রহে সাফল্য পেল মোদী সরকার। মঙ্গলবার টুইট করে মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন ইলেকট্রনিকস, তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। 

একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রথমে ভ্যাকসিনেশনে দেশ জুড়ে সাফল্য অর্জন করে গোটা বিশ্বের সামনে নজির তৈরি করা হয়েছে। এরপরে জিএসটি সংগ্রহে(GST collection)  সাফল্য পেল মোদী সরকার (Narendra Modi Govt)। মঙ্গলবার টুইট করে মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন ইলেকট্রনিকস, তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। 

এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন জিএসটি সংগ্রহে রেকর্ড করেছে দেশ। নরেন্দ্র মোদীর যোগ্য নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। লকডাউনের চোখরাঙানি সত্ত্বেও জিএসটি সংগ্রহের হার দুর্দান্ত সাফল্যের মুখ দেখিয়েছে। করোনা আবহে যখন অর্থনীতির গতি রুদ্ধ হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তখন এই সাফল্য বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। 

উল্লেখ্য, চলতি বছর অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অক্টোবরের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ বেশি। জিএসটি ব্যবস্থা  কার্যকর হওয়ার পরে গত অক্টোবর মাসে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি এপ্রিল মাসে এই সংগ্রহণের পরিমাণ এই পর্যন্ত সর্বোচ্চে পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এই থেকেই বোঝা যাচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় প্রতি মাসে যে পরিমাণ ই-ওয়ে বিল তৈরি হয়েছে তা থেকেই রাজস্ব সংগ্রহ যে বাড়ছে তা বোঝা যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে নিয়মিত প্রাপ্য বকেয়া হিসেবে আইজিএসটি খাতে সংগ্রহ থেকে সিজিএসটি বাবদ ২৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ও এসজিএসটি বাবদ ২২ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা মিটিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে প্রাপ্য বকেয়া মেটানোর পরে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মোটি রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সিজিএসটি বাবদ ৫১ হাজার ১৭১ কোটি টাকা। ও এসজিএসটি বাবদ ৫২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। 

জানা গিয়েছে সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিজিএসটি বাবাদ ২৩ হাজার ৮৬১ কোট্ টাকা এসজিএসটি বাবদ ৩০  হাজার ৪২১ কোটি টাকা আইজিএসটি খাতে ৬৭ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা যার মধ্যে পণ্য সামগ্রী আমদানি থেকে ৩২ হাজারেরও বেশি টাকা সংগ্রহ হয়েছে। অন্যদিকে সেস বাবদ ৮ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। 

এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান

Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে

রাজীব চন্দ্রশেখর এর আগে জানিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভপলমেন্ট সেক্টর ৩১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রাজস্ব আয় করে। এক হাজারেরও বেশি বিশ্বব্যাপী কোম্পানি রয়েছে যারা বিভিন্ন সেক্টরে প্রোডাক্ট তৈরির জন্য ভারতের সংস্থা স্থাপন করেছে। 'আমরা যেসব পণ্য ব্যবহার করি তার অধিকাংশই ইন্ডিয়া ইনসাইড'। অর্থাৎ ভারতে তৈরি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেরা সময় আসেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।  উৎপাদন, কৌশল, আর ডিজিটালাইজেশনের সুযোগগুলি আগামী ৫ বছরে দেশের ট্রিলিয়ন ডলার ডিজিটাল অর্থনীতির বাস্তবায়িত করেত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।