সংক্ষিপ্ত
ইসলামাবাদের সামনে অনেকটাগুলো কটিন পরিস্থিতি। তার মধ্যে একটা হল সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া।
পালাবদল ঘটেছে। পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তবে তাতে সীমান্ত পেরিয়ে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাস আমদানির ছবিটা বদলাবে কি? সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তামাম ভারতেরও সেই একই প্রশ্ন। শেহবাজ কি পারবেন দেশের মাটিতে চলা সন্ত্রাসের রমরমা বন্ধ করতে ? প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরটাও জানা। তবে রেয়াত করছে না ভারত। আপাতত পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রীর সামনে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল ভারত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শেহবাজের সামনে চ্যালেঞ্জ রাখলেন রাজনাথ। দাবি করলেন শেহবাজ যেন পাকিস্তানের মাটিতে চলা সন্ত্রাস বন্ধ করতে উদ্যোগী হন। এরই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য শেহবাজকে শুভেচ্ছা জানান রাজনাথ। তিনি বলেন ইসলামাবাদের সামনে অনেকটাগুলো কটিন পরিস্থিতি। তার মধ্যে একটা হল সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া। সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে না পারলে, পাকিস্তান সঠিক অর্থে উন্নয়ন কখনই করতে পারবে না।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনাথ বলেছেন, "আমি শুধু সন্ত্রাস দমনের জন্য তাকে উদ্যোগ নিতে বলতে চাই, এরই সাথে পদের জন্য শুভ কামনা।" উল্লেখ্য, রাজনাথ সিং ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 2+2 ডায়ালগের অংশ হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। এর আগে, তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জে অস্টিনের সাথে দেখা করেন এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্পের নেতাদের সাথেও মতবিনিময় করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক
প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু। নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যেই এই সফর। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, বারত এক মাসে যে পরিমাণ জ্বালানি রাশিয়ার কাছ থেকে কেনে, তা ইউরোপের একদিনের আমদানির সমান। উল্লেখ্য, রাশিয়ার ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে ভারতকে জ্বালানি আমদানি করা থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেয় আমেরিকা। তবে তাতে রাজি হয়নি নয়াদিল্লি।
ভারত পরিষ্কার জানিয়েছে মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক কোনওভাবেই নষ্ট করবে না নয়াদিল্লি। তবে ইউক্রেনের সঙ্গে বিবাদ মেটাতে ভারতের তরফ থেকে অনেকবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে কিছু কূটনৈতিক চাল খেলেই নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে ভারত।
এর আগে, নরেন্দ্র মোদী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানের কারণ জানান। পাশাপাশি যুদ্ধের অতিস্থিতিশীল প্রভাবগুলি নিয়েও তিনি আলোচনা করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুচায় নিরিহ সাধারণ ইউক্রেকীয় নাগরিকদের হত্যার তীব্র নিন্দা করেন। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনায় মাধ্যমে শান্তি স্থাপনের ওপরেও জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন। দুই দেশের নেতাদের আলোচনার মাধ্যমে শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছে ভারত এখনও বিশ্বাস করে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধান সম্ভব।
যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। সেখানে ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাশিয়ার থেকে কমদামে তেল ও গ্যাস কিনছে। যা মার্কিন একাধিক নেতা মেনে নিতে পারেননি। এদিনও বাইডেন ভারতে নিজেদের পক্ষে টানার একটা প্রচ্ছন্ন চেষ্টা করেন।