সংক্ষিপ্ত
- লাদাখ ইস্যুতে সরব রাজনাথ সিং
- ভারত বিশ্ব শান্তির পক্ষে বলে মন্তব্য
- এএসইএএন এর বৈঠকে মন্তব্য রাজনাথের
- সদস্য দেশের তালিকায় রয়েছে চিন
আরও একবার নাম না করে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে চিনকে কড়া বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন ভারত পারস্পরিক আস্থা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আত্মংযমও বাড়িয়ে চলেছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে এমন পদক্ষেপ এড়িয়ে বিশ্ব শান্তি বজায় রাখার দিকে এগিয়ে যেতে চায়। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ ও সাইবার হুমকির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন। অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট নেশনস বা এএসইএএন এর উদ্যোগে আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন তিনি।
এএসইএএন-এর এই বৈঠকে ভারতের সঙ্গে উপস্থিত ছিল অস্ট্রেলিয়া, চিন, জাপান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার মত সদস্য দেশগুলি। ২০১০ সালে শান্তি ও উন্নয়নের সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষার সহযোগিতা বাড়াতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই বছর এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করে ভিয়েতনাম। আর সেই বৈঠকেই চিনা প্রতিনিধির উপস্থিতিতেই চিন ইস্যুতে নাম না করে উষ্মা প্রকাশ করেন রাজনাথ সিং। একই সঙ্গে তিনি সমুদ্র সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ফোরাম হিসেবে আগামী দিনে সন্ত্রাসবাদের হুমকি , সামুদ্রিক সুরক্ষা ও সাইবার সম্পর্কিত অপরাধ রুখতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিয়ম ভিত্তিক শৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছে। ভারতের পুরো বিশ্বকে একটি পরিবার হিসেবে দেখে বলেই শান্তি বিঘ্ন করতে চায়না বলেও জানিয়েছিন তিনি।
চলতি বছর মে মাস থেকেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনা সেনা আগ্রাসন বাড়াচ্ছে বলে একাধিক বার অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এপ্রিলের পূর্ব অবস্থায় ফিরে যায়নি চিনা সেনা। এই পরিস্থিতি কড়া শীতের মধ্যেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একাধিক বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান পাওয়া যায়নি। আগেও রাশিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত একটি নিরাপত্তা বৈঠকে চিনের উপস্থিতিতে নাম না করে চিনা সেনার আগ্রাসন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজনাথ সিং। তারপর আরও একবার তিনি নিশানা করেন প্রতিবেশী দেশটিকে। কিন্ত এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি চিন।
কোন কোন ওষুধে হবে করোনা-মুক্তি, গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ভারতীয় বিজ্ঞানীদের ...
ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ভিনগ্রহীদের, জল্পনা উস্কের গেল ইসরাইলের বিজ্ঞানীর কথায় ...
অন্যদিকে ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এএসইএএন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে একটি কৌশলগত অবস্থান তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন এই দলের সদস্যদের প্রকৃতির ক্রমবর্ধমান সীমানা তৈরি করে তা ভোগ করা ও সুরক্ষার চ্যালেঞ্জগুলি নোকাবিলা করার জব্য দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। আগামী দিনে সদস্যদেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।