সংক্ষিপ্ত
- স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত আন্তর্জাতিক মহলে একটি অত্যন্ত সহনশীল রাষ্ট্র বলেই পরিচিত ভারত
- পরমাণু নীতিতে 'প্রথম আক্রমণ নয়' নীতিতেই বিশ্বাসী ছিল ভারত
- দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে উপত্যকা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার
- ফলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে আসতে পারে পরিবর্তন
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের পর দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে উপত্যকা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত আন্তর্জাতিক মহলে একটি অত্যন্ত সহনশীল রাষ্ট্র হিসাবেই চিহ্নিত হয়েছে। তবে পরিস্থিতির প্রয়োজনে সেই সহনশীলতার পথ থেকে সরেও আসতে পারে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর কথায় অন্তত সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজস্থানের পোখরানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে এদিন তিনি জানান, ভারত কখনওই প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের পক্ষে নয়। তবে এদিন তিনি আরও জানান যে, ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্তের কী হবে তা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর।
প্রসঙ্গত, বাজপেয়ী সরকারের জমানায় ১৯৯৮ সালে রাজস্থানের এই পোখরানেই পারমাণবিক শক্তি পরীক্ষায় সফল হয় ভারত, আর এরপরই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে ভারত। আর সেইসময়েই ঘোষণা করা হয়েছিল যে, ভারত কখনওই প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করবে না। অর্থাৎ শুরু থেকেই 'প্রথম আক্রমণ নয়' নীতিতেই বিশ্বাসী ছিল ভারত। কেউ আঘাত হানলে তবেই তার প্রত্যাঘাত করা হবে। তবে এবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানালেন যে, ভারতের এই নীতিতে পরিস্থিতি অনুসারে বদল আনা হতে পারে।
এই প্রসঙ্গে কার্যত নাম না করেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা রাজনাথ সিং। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, সাম্প্রতিককালে বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা বাতিলকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। সীমান্তে একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে পাক সেনা। পাশাপাশি চলতি বছরে পুলওয়ামার মতো হামলা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এইভাবে পাকিস্তান ভারতের ওপর একের পর এক যেভাবে আঘাত হানছে, তাতে করে প্রয়োজন পড়লে ভারতের পরমাণু নীতি যে বদলে যেতে পারে সেই বার্তাই দিচ্ছেন রাজনাথ সিং।