সংক্ষিপ্ত
কুলভূষণকে নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় গিয়েছে ভারতের পক্ষেই। এটি ভারতের পক্ষে একটি দারুণ জয় বলে মনে করছেন রাজনাথ সিং। প্রথম থেকে উদ্যোগ নেওয়া সুষমা স্বরাজও রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে সুষমা থেকে নীতিন গড়গড়ি এই জয়কে মোদাী সরকারের সাফল্য বলেই দেখাতে চাইছেন।
আন্তর্জাতিক ন্য়ায় আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ পড়েছে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডে। সেই সঙ্গে এই ক্ষেত্রে বন্দী অবস্থায় কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় প্রতিনিধিদের দেখা করতে না দেওয়া বা তাঁকে আইনি সহায়তচা নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে ভিয়েনা চুক্তির ধারা লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান এই কথাও বলা হয়েছে। আর এতেই ভারতের বড় জয় হয়েছে বলে মনে করছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এদিন রায় বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজনাথ সিং সংবাদমাধ্যমকে জানা, 'এটা অবশ্যই ভারতের বড় জয়'। তবে কুলভূষণের মামলা এতদূর গড়ানোর পিছনে মূল যাংর হাত ছিল তিনি প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ২০১৭ সালে তিনিই প্রথম সংসদে গিয়ে বলেছিলেন, যে করেই হোক কুলভূষণকে ন্যায় বিচার দিতে হবে।
এদিন আন্তর্জাতিক ন্য়ায় আদালতের রায়ে বলাই বাহুল্য তিনি অত্যন্ত খুশি। রাজনাথের সুরেই তিনি এই রায়কে ভারতের জয় হিসেবেই দেখছেন। তবে বকলমে বুঝিয়েও দিয়েছেন এই জয় মোদীরই জয়। সুষমার মতে মোদীর জন্য়ই বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে পৌঁছেছে। রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেছেন, এতে হয়ত প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারটির পরিবারের লোকজন কিছুটা সান্ত্বনা পাবেন। তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা হরিশ সালভেকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমও এদিনের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মতে আক্ষরিক অর্থেই ন্যায় বিচার করল আন্তর্জাতিক আদালত। বস্তুত ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকেই এদিনের রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী রীতা বহুগুনা প্রমুখরা রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই গড়কড়িরাও এই জয়কে মোদী সরকারের জয় হিসেবেই তুলে ধরেছেন।