সংক্ষিপ্ত
২০১৯ সালের ৯ই নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ বিতর্কের বিষয়ে রাম মন্দিরের পক্ষে রায় দেয়। এর পরে, করোনার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের পাঁচই আগস্ট মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
ত্রিপুরার জনসভায় দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের মন্দির তৈরির কাজ শেষের পথে। এবার রাম মন্দির নির্মাণের পর উদ্বোধন কবে হবে তা তিনি জানিয়েছেন। অমিত শাহ জানিয়েছেন যে ২০২৪ সালের পয়লা জানুয়ারি অযোধ্যায় একটি বিশাল অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রাম মন্দিরের দরজা খোলা হবে। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় এক জনসভায় ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সময় তিনি রাম মন্দিরের তারিখ ঘোষণা করেন, যা নিঃসন্দেহে একটি বড় ঘোষণা।
উত্তর-পূর্ব ত্রিপুরায় অনুষ্ঠান চলাকালীন রাহুল গান্ধীর ওপর কড়া আক্রমণ শানান অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "আমি একটা কথা বলতে এসেছি। আমি ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি দলের সভাপতি ছিলাম। রাহুল বাবা কংগ্রেস দলের সভাপতি ছিলেন।"
কড়া প্রশ্ন রাহুলকে
রাহুল গান্ধী সম্পর্কে অমিত শাহ বলেন, "রাহুল বাবা প্রতিদিন জিজ্ঞেস করতেন- 'মন্দির তৈরি হবে, কিন্তু তারিখ জানাবেন না'। রাহুল গান্ধীর আজ কান খুলে শোনা উচিত। পয়লা জানুয়ারি, ২০২৪-এ আকাশচুম্বী রাম অযোধ্যায় মন্দির তৈরি হবে।”
অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়ে অমিত শাহ বলেন, "অযোধ্যায় রাম মন্দির ভেঙে দিয়েছিলেন বাবর। স্বাধীনতার পর থেকেই কংগ্রেস আদালতকে সেই ইস্যুতে বিভ্রান্ত করছিল। নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসে।" আদালতের সিদ্ধান্তে মোদীজি রাম মন্দিরের ভূমিপূজন করলেন।"
উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
আমরা আপনাকে বলি যে ২০১৯ সালের ৯ই নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ বিতর্কের বিষয়ে রাম মন্দিরের পক্ষে রায় দেয়। এর পরে, করোনার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের পাঁচই আগস্ট মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এর আওতায় গত দুই বছর ধরে অযোধ্যায় চলছে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে মন্দির নির্মাণের কাজ।
শুধু মাত্র রাম মন্দির নির্মাণের আনুমানিক খরচের যা হিসাব দেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১,৮০০ কোটি টাকায়। এরপর মন্দির চত্বরে প্রতিষ্ঠা করা হবে রামায়ণের নানা চরিত্রের মূর্তি। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করা যাবে বলেই আশা করছেন তাঁরা। ২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তি উৎসবের মধ্যে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামচন্দ্রের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানান তিনি।
গ্র্যান্ড রাম মন্দির অযোধ্যাকে সত্যিকারের আন্তর্জাতিক শহরে পরিণত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই মিশনে শক্তি যোগাচ্ছে অযোধ্যা স্মার্ট সিটি প্রকল্প। স্মার্ট সিটি প্রকল্পের লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন, একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং আরও সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে চলা। এরই সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।