সংক্ষিপ্ত
নৃপেন্দ্র মিশ্র এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের রাজেশ কালরাকে জানিয়েছেন মন্দির নির্মাণের জন্য প্রথম থেকেই একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
অযোধ্যার রাম মন্দিরের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই রাম মন্দিরের জমকালো উদ্বোধন হবে। ভগবান শ্রীরামের ভক্তরা মন্দির দর্শনের সুযোগ পাবে। রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের রাজেশ কালরাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেছেন মন্দির নির্মাণের কথা। তিনি জানিয়েছেন, ঠিক কতটা শক্তি ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে রাম মন্দির। মন্দিরের স্থিতিস্থাপকতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
মজবুত ভিত্তি
নৃপেন্দ্র মিশ্র এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের রাজেশ কালরাকে জানিয়েছেন মন্দির নির্মাণের জন্য প্রথম থেকেই একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ফাউন্ডেশন যার গভীরতা প্রায় ১২ মিটার ও ভেলা যার উচ্চতা ২ মিটার। সঙ্গে রয়েছে গ্রানাইটের প্লিন্থ- যার উচ্চতা ২.৫ মিটার। তারপরই তিনি বলেছেন, একটি শক্তিশালী ভিত্তি যে কোনও নির্মাণকাজের গুরুত্ব বোঝায়। এটার থেকেই বোঝা যায় রাম মন্দিরের ভিত কতটা মজবুত।
রাম মন্দিরের স্থিতিস্থাপকতা
নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানিয়েছেন, মন্দিরের কাঠামোগত অখণ্ডা শক্তিশালী করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। তিনি বলেছেন শক্তিশালী ও টেকসই মন্দির নির্মাণের জন্য প্রচুর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করা হয়েছে। লোড ফ্যাক্টর, যা এর উপর আসতে পারে৷ সেই লোড ফ্যাক্টরটি আইআইটি-চেন্নাই এবং সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, রুরকি দ্বারা সিমুলেশন দীর্ঘ অধ্যায়নের পরই স্থির করেছিল। তারা ভূমিকম্পের অনুকরণের জন্যও কাজ করেছিল। কাঠামোর স্থিতিশীলতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে এমন সমস্ত ধরণের বিপর্যয় ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পাথর স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমিতিগুলি কী কী হতে পারে। তিনি আরও বলেছেন পাথরের ছাদ নির্মাণের জন্য দক্ষতার প্রয়োজন ছিল। এটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। মন্দিরের জন্য ৩৫০টি স্তম্ভ রয়েছে। যারমধ্যে ১৭০টি স্তম্ভ নিচের তলায় রয়েছে। তার প্রতিটি স্তম্ভেই ২৫-৩০টি চিত্র রয়েছে।
রাস্তা নির্মাণ
রাস্তা তৈরি শুরু হয়েছে। রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ছে যান বাহনের সংখ্যা। ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন নতুন রুটে যাতায়াত ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। নিকাশি থেকে উন্নয়নের যাবতীয় কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হবে বলেই মনে হচ্ছে।