সংক্ষিপ্ত
ভরতপুর (রাজস্থান)। ভরতপুরের ঘন পক্ষী অভয়ারণ্য এই সময়ে পাখিপ্রেমী এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য স্থান। এখানে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার পাখি প্রজাতির বাস। সম্প্রতি এখানে হরিয়াল কবুতর, যা গ্রিন পিজন নামেও পরিচিত, বৃহৎ সংখ্যায় দেখা যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের রাজ্য পাখি হওয়া সত্ত্বেও হরিয়াল কবুতর ভরতপুরের এই অঞ্চলে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। বর্তমানে ভরতপুরে বার্ড ওয়াচিং ঋতু চলছে।
এই কারণে এই পাখি মাটিতে নামে না
হরিয়াল কবুতর তার আকর্ষণীয় সবুজ-হলুদ রঙ এবং শান্ত স্বভাবের জন্য পরিচিত। এই পাখি সাধারণত ঘন গাছে দেখা যায়। এর সম্পর্কে একটি মজার তথ্য হলো এই পাখি মাটিতে নামে না। যদি কখনো নামেও, তবে শুধুমাত্র একটি ছোট ডালে বসার জন্য। তবে, সময়ের সাথে সাথে এই ধারণা বদলাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবর্তিত পরিবেশ এবং পরিস্থিতির কারণে হরিয়াল কবুতরকে মাঝে মাঝে মাটিতেও দেখা গেছে, বিশেষ করে পানি পান করার জন্য।
এই পাখিকে বলা হয় বনের রক্ষাকর্তা
পাখিবিদরা জানিয়েছেন, হরিয়াল কবুতর প্রধানত ফল এবং বীজের উপর নির্ভর করে। এটি আম, জাম এবং বটের মতো ফল পছন্দ করে। এর শান্ত স্বভাব এবং গাছে থাকার অভ্যাসের কারণে একে প্রায়শই বনের রক্ষাকর্তা বলা হয়, কারণ এটি বীজ ছড়িয়ে সাহায্য করে। ভরতপুরের ঘন পক্ষী অভয়ারণ্যে হরিয়াল কবুতরের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এই কথার ইঙ্গিত দেয় যে এই স্থান পাখিদের জন্য একটি নিরাপদ এবং অনুকূল পরিবেশ প্রদান করে। এই অভয়ারণ্য শুধুমাত্র পাখিদের বাসস্থান নয়, বরং প্রকৃতির অসাধারণ ভারসাম্যের প্রতীকও।