সংক্ষিপ্ত
নতুন আইটি বিধি জারি করেছে কেন্দ্র
দিল্লি হাইকোর্টে সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ
তাদের দাবি এই বিধি অসাংবিধানিক, গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করে
এদিন তার জবাব জিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ
সোশ্য়াল মিডিয়া সংস্থাগুলির জন্য নতুন আইটি বিধি জারি করেছে কেন্দ্র। যে বিধিকে বুধবারই দিল্লি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে ফেসবুকের মালিনাধীন সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ। সংস্থার দাবি, কেন্দ্রের জারি করা নতুন আইটি বিধি গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করেছে, তাই এটি অসাংবিধানিক। একদিন পরই অবশ্য কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সেই দাবি নস্যাত করে দিলেন। এদিন তিনি এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানালেন নতুন বিধি তৈরি করা হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ার অপব্যবহার বন্ধ করার লক্ষ্যে। আর সরকার গোপনীয়তার অধিকারকে সম্মান করে।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ, যাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাঁদের এই নতুন বিধি সম্পর্কে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য, সোশ্য়াল মিডিয়ার কোনও বার্তা থেকে যদি কোনও অপরাধ ঘটে, তাহলে সেই বার্তাটি প্রথম কে পাঠিয়েছিল, তা খুঁজে বের করা। ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, সুরক্ষা, গণশৃঙ্খলা নষ্ট হয়, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতনের সাথে সম্পর্কিত অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধের ক্ষেত্রেই এই বিধি কার্যকর হবে। তাও, যেই ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যবস্থা কাজে আসবে না, সেই ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ার বার্তা ঘাঁটা হবে। কাজেই এই বিধিতে গোপনীয়তার অধিকার তো লঙ্ঘিত হচ্ছেই না, বরং যখন কোনও ব্যবহারকারী সোশ্যাল মি়ডিয়ার অপব্যবহারের শিকার হবে, সেইসময় তাদের ক্ষমতায়িত করবে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকার এই নতুন তথ্য প্রযুক্তি (মধ্যস্থতাকারী নিরদেশাবলী এবং ডিজিটাল মিডিয়া নৈতিক বিধান) বিধিমালা, ২০২১ ঘোষণা করেছিল। সরকার বলেছিল, টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্য়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে ২৫ মে তারিখের মধ্যে এই বিধান মেনে চলার জন্য সম্মতি দিতে হবে। কিন্তু, ২৬ মে উল্টে আদালতে এই নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ করে হোয়াটসঅ্যাপ বলেছে, নয়া বিধির ফলে তাদের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন-এর মতো সুবিধাগুলি আর থাকবে না। তারা আদালতের কাছে আবেদন করেছে, প্রথম তথ্য প্রদানকারীর অনুসন্ধানের যে বিধি, তাতে সংস্থার উপর কোনও অপরাধমূলক দায় চাপানো যাবে না।