সংক্ষিপ্ত
নতুন বইয়ে রঞ্জন গগৈ যেমন একাধির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা পদ আর শক্তির প্রভাবে বিচারব্যবস্থা প্রবাবিত করতে চায়।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কর্মীর করা যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে শুরু করে অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (NRC) মামল ও বাবরি মসজিদ রায়ের (Ayodha Verdict) মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উঠে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ রঞ্জন গগৈ (Ranjan Gogoi) এর নতুন বই 'জাস্টিস ফর দ্যা জাজ' (Justic For The Judge) বইয়ে।
তাঁর লেখা নতুন বইয়ে রঞ্জন গগৈ যেমন একাধির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা পদ আর শক্তির প্রভাবে বিচারব্যবস্থা প্রবাবিত করতে চায়।নতুন বইতে তিনি দাবি করেছেন, অসমের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ সিএএ মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই কারণে তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। তিনি আরও লিখেছেন তিনি যখন তা জানতে পারেন তখন তিনি খুবই অবাক হয়ে যান। কারণ তরুণ গগৈকে তিনি অত্যান্ত সম্মান করতেন।
তাঁর বইতে গগৈ ভিকে তাহিলরামানির বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন। তিনি ২০১৯সালে মেঘালয় হাইকোর্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সিবিআই তদন্ত হয়েছিল। সেই তদন্তের প্রাথমিক স্তরে তাহিলরামানির বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ গুলির সত্যতা পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালে সিবিআই-এর পক্ষ থেকেই সেইমর্মে একটি নোটও দেওয়া হয়েছিল।
গগৈয়ের অন্যতম সমালোচক দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এপি শাহ ও বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু-র কথাও উল্লেখ রয়েছে বইটিতে। পাশাপাশি অযোধ্যা মামলার বেঞ্চ গঠনের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন ভারতের বর্তমান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানাকে তিনি অযোধ্যা মামলার জন্য গঠিত বেঞ্চে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রামানা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। ও বেঞ্চে থাকতে সম্মত না হওয়ার কারণগুলি তাঁকে জানিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছেন অযোধ্যা মামলার রায়ে কোনও বিচারপতির নাম নেই। এক্ষেত্রে তিনি প্রচলিত রীতি মানেননি। শুনানি শেষ হওয়ার পরই তিনি রায়ের কপিতে কোনও বিচারপতির নাম উল্লেখ থাকবে না- এমন পরামর্শ দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন এটি কিউরিয়ামের আইনী ধারনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটির অর্থ আদালতের আদেশ।
বইতে তিনি উল্লেখ করেছেন মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা স্বঘোষিত নেতারা বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি বড় বিপদ। তাঁর অভিযোগ এঁরা প্রায় নির্বাচিত এজেন্ডা ভিত্তিক প্রকাশনায় জন সাধারণের বক্তৃতা ও লেখা দেয়। কিন্তু সেখানে ভুল তথ্য দিয়ে বিচারকদের ব্যক্তিগতভাবে সমালোচনা করে।