সংক্ষিপ্ত
গত দিন জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, চণ্ডীগড় এবং দিল্লি-এনসিআর-এর ৫০টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। তারা এই অভিযানে আনেক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এছাড়া অপরাধমূলক নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে। যার ফলে আপরাধী এবং সীমা পারের সন্ত্রাসীদের সম্পর্ক উন্মোচিত হয়েছে। এনআইএ গত ৮ মাস ধরে এই সম্পর্ক সম্বন্ধে তদন্ত করছিল। এতদিনে তাদের হাতে সফলটা আসে।
সাম্প্রতিক ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, চণ্ডীগড় এবং দিল্লি-এনসিআরের ৫০ টিরও বেশি যায়গায় অভিযান চালানোর পর বেশ কিছু উদ্বিগ্ন করার মতো তথ্য উঠে এসেছে। আলোচিত আভীযানে একটি আপরাধী-সন্ত্রাসী সম্পর্ক প্রকাশের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র এবং অপরাধমূলক নথি পাওয়া গেছে। সংস্থাটি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় দুটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। সূত্র মারফত জানা গেছে যে এনআইএ সহ আন্যান্য সরকারি তদন্তকারি সংস্থাগুলি গত আট মাস ধরে গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী সম্পর্ক ভাঙতে কাজ করছে। আপরাধী ও সন্ত্রাসী যোগের কথা পাতিয়ালা জেল এবং মোহালি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদর দফতরে আরপিজি হামলার পরে প্রকাশ্যে এসেছিল।
স্থানীয় পুলিশের সাথে এনআইএ-র যৌথ অভিযানের ফলে গ্যাংস্টার বীরেন্দ্র প্রতাপ সিং ওরফে কালা রানার যমুনানগরের বাড়ি থেকে ছয়টি অবৈধ অস্ত্র, ৯০টি জীবন্ত কার্তুজ এবং ১০টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। সিধু মুসেওয়ালা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গোল্ডি ব্রারের মুক্তসারের বাড়িতেও প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। এনআইএ দল তার বাড়ি থেকে একটি মোবাইল সিম কার্ড উদ্ধার করেছে। এনআইএ গৌরব পাতিয়াল ওরফে লাকির বাড়ি থেকে কিছু নথিও নিজেদের দখলে নিয়েছে। একইভাবে, কারাগারে থাকা জগ্গু ভগবানপুরিয়ার বাটালার গুরুদাসপুরের বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল ফোন সেট এবং কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। জেল বন্দী লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দুতারনওয়ালীর আবোহারের বাসায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে একটি মোবাইল সেট এবং দুটি মোবাইল সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এনআইএ আধিকারিকরা তাদের সাথে সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআরও নিয়ে যায়।
পাঞ্জাব পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন যে পাকিস্তানের আইএসআই পাঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী যোগকে কাজে লাগাচ্ছে। তদন্তে জানা গেছে যে পাকিস্তান-ভিত্তিক খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং গ্যাংস্টাররা, যারা গত এক দশকে সীমা অতিক্রম করেছিল, তারা কেবল মৌলবাদীই ছিল না বরং তারা অল্প পরিমাণ অর্থের প্রস্তাব দিয়ে বেকার যুবকদের প্রলুব্ধ করেছে মৌলবাদ এর সাথে যুক্ত হয়ার জন্য। সূত্র মরফত জানা গেছে, এক শ্রেণির গুণ্ডাদের দ্বারা পরিচালিত অন্তত দশটি ভয়ঙ্কর দল বেশ কিছুদিন ধরেই এজেন্সির রাডারে ছিল। গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী, হরবিন্দর সিং রিন্দা, যিনি পাকিস্তানে রয়েছেন, তিনি সুপরিচিত গ্যাংস্টার সহ এক হাজারেরও বেশি অপরাধীর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। যে গ্যাংস্টাররা তার সংস্পর্শে আছে বলে মনে করা হয় তাদের মধ্যে রয়েছে হরজিন্দর সিং আকাশ, প্রদীপ চানা, জয়পাল ভুল্লর এবং দিলপ্রীত দাহা। জানা গেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা শাখাও গ্যাংস্টার-সন্ত্রাসী সংযোগের বিষয়ে আলাদাভাবে তদন্ত করছে।