আতারি-ওয়াঘা সীমান্তে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানে বিএসএফ জওয়ানরা দেশপ্রেমের অনন্য প্রদর্শন করেছেন। প্রতিদিনের এই অনুষ্ঠানে প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশেষ উৎসাহ দেখা গেছে। কর্তব্য পথেও জমকালো কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আতারি-ওয়াঘা সীমান্তে বিটিং রিট্রিট: সারা দেশে প্রজাতন্ত্র দিবসের উৎসাহ ও উদ্দীপনা। কর্তব্য পথ থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি গ্রামে ভারত মাতা কি জয় ধ্বনি। রবিবার ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে অমৃতসরের বাঘা আতারি সীমান্তে বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনারা দেশপ্রেমের অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। বিএসএফ জওয়ানরা অনুষ্ঠানে অভূতপূর্ব প্রদর্শন করায় উপস্থিত জনতা ভারত মাতা কি জয় ও বন্দে মাতরম ধ্বনিতে মুখরিত করে তোলে।
প্রতিদিন আতারি-ওয়াঘা সীমান্তে অনুষ্ঠান
পাঞ্জাবের অমৃতসর জেলায় অবস্থিত আতারি-ওয়াঘা সীমান্তে প্রতিদিন বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করার জন্য প্রচুর পর্যটক আসেন। দেশপ্রেমের অনন্য উদাহরণ এখানে দেখা যায়। আতারি-ওয়াঘা সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের জওয়ান মোতায়েন থাকেন। বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠানে উভয় দেশের জওয়ানরা জোশ, উদ্দীপনা ও দেশপ্রেমের সাথে সূর্যাস্তের সময় নিজ নিজ দেশের পতাকা নামান। এই অনুষ্ঠান প্রতিদিনই হয়, তবে প্রজাতন্ত্র দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ উৎসাহ দেখা যায়।
কর্তব্য পথে জমকালো কুচকাওয়াজ
ভারতের ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবো সুবিয়ান্তো মুখ্য অতিথি ছিলেন। রাজধানীর কর্তব্য পথে কুচকাওয়াজের মূল আকর্ষণ ছিল সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি এবং জনভোগীদারি। কুচকাওয়াজে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ঐক্য, সমানতা, উন্নয়ন এবং সামরিক শক্তির অপূর্ব সমন্বয় দেখা গেল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবো সুবিয়ান্তো ঐতিহ্যবাহী বাগিতে কর্তব্য পথে পৌঁছান। এরপর রাষ্ট্রপতি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতীয় সঙ্গীতের সুরে সমগ্র পরিবেশ মুখরিত হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসে ৩১টি ঝাঁকি প্রদর্শিত হয়, যার মধ্যে ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রদেশ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়, তিন বাহিনী এবং প্রাক্তন সেনাদের অংশগ্রহণ ছিল। সকল ঝাঁকি এই বছরের থিম ‘স্বর্ণিম ভারত: ঐতিহ্য ও উন্নয়ন’ থেকে প্রেরণা নিয়ে তৈরি হয়েছিল, যা দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও উন্নয়নের গতিপথকে প্রতিফলিত করে।
