সংক্ষিপ্ত

  • বেতন পাচ্ছেন না উত্তর দিল্লি পুরনিগমের চিকিৎসকরা
  • বেতন বাকি রয়েছে শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের
  • ফান্ড না থাকার কারণেই বেতন দেওয়া যাচ্ছে না
  • কেজরি সরকারের দিকে অভিযোগের তির পুরনিগমের

দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগের হয়ে উঠছে। প্রথম ৫ করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় রয়েছে এদেশের নাম। এই পরিস্থিতিতে দিন-রাত এক করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন দেশের চিকিৎসকরা। এমন পরিস্থিতিতেই এবার বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুলছেন চিকিৎসকরা। গত তিন মাস ধরে অর্থাৎ মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে কোনও বেতন পাননি উত্তর দিল্লি পুরসভার কস্তুরবা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে বেতন না মেটান হলে এই প্রসূতি হাসপাতালের চিকিৎসকরা আগামী ১৬ জুন গণইস্তফা দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন।

কস্তুরবা হাসপাতালের চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে তাঁরা চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে ১৬ জুনের মধ্যে তাঁদের বকেয়া বেতন মেটান না হলে হাসপাতালের সকল চিকিৎসকরেই গণইস্তফা দেওয়া ছাড়া পথ থাকবে না। 

 

কস্তুরবা হাসপাতালের চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসক সুনীল প্রসাদ জানিয়েছেন, তাঁরা বহুদিন ধরেই বকেয়া বেতনের দাবি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু উত্তর দিল্লি পুরনিগম ফান্ড না থাকার যুক্তি দেখিয়ে বেতন বন্ধ করে দেয়। এই অবস্থায় প্রশাসন থেকে বেতন না দেওয়া হলে বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করা ছাড়া তাঁদের কাছে কোনও উপায় থাকবে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন চিকিৎসক সুনীল প্রসাদ।

আরও পড়ুন: বাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু মা ও ৩ সন্তাদের , ২ শিশুর ঝলসানো শরীর মিলল বাক্সবন্দি অবস্থায়

উল্লেখ্য, গত ৩ মাস হল কেবল চিকিৎসকরা নন উত্তর দিল্লি পুরনিগমের অন্তর্গত শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও বেতন পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় আগামী দিনে পুরনিগমের কর্মীরা ধর্মঘটে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে পুরনিগমের দাবি, কর্মচারীদের বেতনের জন্য বারবার দিল্লি সরকারের কাছে তহবিল দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু কেজরি সরকার সেই টাকা এখনও দেয়নি, সেই কারণেই বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। 

আরও পড়ুন: আনলক নয় ফের একবার কড়া লকডাউনের পথে ফিরছে মহারাষ্ট্র, ইজ্ঞিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব

এদিকে রাজধানী দিল্লিতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১,৫০১ জন। ফলে জাতীয় রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২,৮১০। দিল্লিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৯৮৪।