সংক্ষিপ্ত

সরকারি হাসপাতালে সিভিক ভলেন্টিয়ার দাপট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সোমবার শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। সেখানে সেখানে প্রতিবাদকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী বলেন, পরিচয়পত্র না দেখেই সিআরপিএফ সবাইকে এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকতে দিচ্ছে।

গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকদের মৃতদেহ। পরবর্তীতে জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সঞ্জয় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হলে সঞ্জয়কেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এরপরেই সরকারি হাসপাতালে সিভিক ভলেন্টিয়ার দাপট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সোমবার শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। সেখানে সেখানে প্রতিবাদকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী বলেন, পরিচয়পত্র না দেখেই সিআরপিএফ সবাইকে এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকতে দিচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সিভিক ভলেন্টিয়াররাও (Civic Volunteers) রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখেরও বেশি সিভিক ভলেন্টিয়ার আছে। আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্তও একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। যে নামেই তাঁদের অভিহিত করা হোক না কেন, তাঁদের কোনও পরিচয়পত্র নেই।

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, কোনও একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সম্পূর্ণ এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াতে দেওয়া যাবে না। কারণ সেখানে ডাক্তাররা কাজ ডিউটি করেন। বিচারপতি আরও বলেন, ‘সিআইএসএফকে বলুন ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব ধরণের ব্যবস্থা নিতে হবে’।

তিনি আরও বলেন বলেন, ‘যারা হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের সুনিশ্চিত করতে হবে, যে কেউ ইচ্ছা হলেই যেন এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়তে না পারেন। তাহলে ডাক্তারদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে? কারা এমারজেন্সি ওয়ার্ডে যেতে পারবেন সেটা সিআইএসএফকে নিশ্চিত করতে হবে’।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।