সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হত্যাকাণ্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। নির্যাতিতার ছবি ও নাম সোশ্যাল মিডিয়া সহ সর্বত্র থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ। আইন অনুযায়ী, যৌন হেনস্থার শিকার মহিলাদের পরিচয় গোপন রাখা আবশ্যক।

আরজি কর হাসপাতাল হত্যাকাণ্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বড় নির্দেশ। এবার সোশ্যাল মিডিয়া,খবর- সব জায়গা থেকেই সরিয়ে দিতে হবে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের ছবি আর নাম। কারণ ভারতীয় আইন অনুযায়ী এই দেশে যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের শিকার মহিলাদের নাম ও ছবি প্রচার করা যায় না। ৩১ বছরের চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরে তাঁর ছবি আর নাম প্রকাশ করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিন যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এদিন আরজি কর হত্যাকাণ্ডের মামলা ওঠে। শুনানির সময় দুই আইনজীবী মৃত ব্যক্তির নাম এবং পরিচয় প্রকাশের বিরুদ্ধে সওয়াল করেন। সেই সময়ই সুপ্রিম কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, 'এই আদালত এই আদেশ দিতে বাধ্য কারণ মিডিয়া হাউসগুলি শুধুমাত্র পোস্টমর্টেমের সময় মৃতদেহের ছবি প্রকাশ করেনি! আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে মৃতার নামের সমস্ত রেফারেন্স এবং ফটো ভিডিওগুলি সমস্ত সামাজিক থেকে অবিলম্বে মুছে ফেলা হয়।'

আবেদনকারীরা উল্লেখ করেছেন যে মৃত ব্যক্তির লাশের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছিল এবং এটি এই আদালতের নিপুন সাক্সেনার রায়কে লঙ্ঘন করে। তারপরই সুপ্রিম কোর্ট বলে, ধর্ষণের শিকার যারা তাদের পরিচয় অবশ্যই গোপন রাখতে হবে। কোনও মিডিয়াতেই এটি প্রকাশ করা যাবে না। এই নিয়ে ভারতীয় আইন সম্পর্কেও আবেদনাকারী আইনজীবী বলেছেন, কখনই এজাতীয়দের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা যায় না। ছবিও প্রকাশ করা যায় না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।