সংক্ষিপ্ত
জয়শঙ্কর বলেছেন, সন্ত্রাস , চরমপন্থা, হিংসার প্রতিক্রিয়া ওপর দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সুবিধে ভোগ করা আমাদের উচিৎ নয়।
'রাজনৈতিক কারণ সন্ত্রাসবাদ বা চরমপন্থার ভিত্তি হতে পারে না।' রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ থেকে নাম না করে কানাডাকে আক্রমণ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, একটি দেশ যাতে অন্য দেশের আভ্যন্তরীন বিষয় হস্তক্ষেপ না করে তার দিনে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ প্রত্যেকটি দেশের। একদিন ভারত-কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে। অন্যদিকে চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত নিয়ে বিবাদ চলছে। তারই মধ্যে এজাতীয় কড়া মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী।
জয়শঙ্কর বলেছেন, 'সন্ত্রাস , চরমপন্থা, হিংসার প্রতিক্রিয়া ওপর দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সুবিধে ভোগ করা আমাদের উচিৎ নয়।একইভাবে আঞ্চলিত অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা ও অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ অনুশীলন করাও ঠিক নয়। সত্যিকারের সংহতি ছাড়ৃা কখনই আস্থা রাখা সম্ভব হয় না। ' এই কথার মাধ্যমে জয়শঙ্কর একদিকে কানাডা অন্যদিকে চিনকে নিশানা করেছেন। জয়শঙ্কর নিজের ভাষণের মধ্যে একবারও চিন বা কানাডার নাম উচ্চারণ করেননি। এদিন নাম না করে তিনি পাকিস্তানকেও নিশানা করেছেন। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায় মন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন। তার উত্তর এদিন দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, 'জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ। পাকিস্তানের মন্তব্য করার কোনও অবস্থান নেই।'
তবে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ থেকে জয়শঙ্কর আরও একবার 'ইন্ডিয়া বনাম ভারত' বিকর্ত উষ্কে দিয়েছেন। ৬৮ বছরের রাজনীতিবিদ এই আন্তর্জাতিক সবথেকে বড় মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, 'নমস্তে ফ্রম ভারত।' এভাবেই তিনি ভারতের পক্ষ থেকে সকলকে নমস্কার জানিয়েছেন। এদিন জয়শঙ্কর তাঁর ভাষণে জি২০র সাফল্য, চন্দ্রযান অভিযানের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন।
সম্প্রতি কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব বাড়ছে খালিস্তান ইস্যুতে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মন্তব্যেকে কেন্দ্র করেই দুই দেশ বিবাদে জডিয়েছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। ভারতও পাল্টা কূটনৈতিক উত্তর দিয়েছে। জি২০ বৈঠকের পর থেকেই দুই দেশের বিবাদ চরম আকার নিয়েছে। যদিও খালিস্তানি নেতা নিজ্জারের মৃত্যু নিয়ে আগেই মন্তব্য করেছিলেন ট্রুডো। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি ভারতের ওপরই দোষারোপ করেছেন।