সংক্ষিপ্ত
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে আইনজীবী বিষ্ণু শর্মা বলেছেন, শুক্রবার আদালতে সংস্থাটি তাদের রিপোর্ট ও প্রতিক্রিয়া দাখিল করেছে।
সম্বল জামে মসজিদ বিতর্কে বড় পদক্ষেপ করল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। সম্প্রতি এএসআই তাদের একটি রিপোর্ট ও প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে আদালতে। সেই রিপোর্টেই মুঘল যুগের মসজিদ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা চেয়েছেন। এটি একটি একটি সুরক্ষিত ঐতিহ্য নির্মাণ।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে আইনজীবী বিষ্ণু শর্মা বলেছেন, শুক্রবার আদালতে সংস্থাটি তাদের রিপোর্ট ও প্রতিক্রিয়া দাখিল করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এলাকা জরিপ করতে গিয়েছে এএসআই সদস্যদের মসজিদ কমিটি ও স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছিল। তিনি আরও বলেছে, এএসআই ২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারির ঘটনাও রিপোর্টে তুলে ধরেছে। কারণ সেই সময় যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই মসজিদের ধাপে স্টিলের রেলিং বসান হয়েছে। আর সেই কারণে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে একটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল।
১৯২৯ সালে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে এই সম্বল জামে সমজিদ এএসআই-এর অধীনে রয়েছে। সেই সময় অনুযায়ী এই পরিকাঠামো সাধারণ মানুষের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিৎ কিনা তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা একমাত্র এএসআই-এর হাতেই রয়েছে। এএসআই-এর বক্তব্য ছিল , কোনও কাঠামোগত পরিবর্তন সহ স্মৃতিস্তম্ভের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার ক্ষমতা অবশ্যই এএসআই-এর হাতেই থাকা জরুরি। পাশপশি মসজিদের কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে আইনজীবী জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, আগমী দিনে এই বিষয় নিয়ে আদালতে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
২৪ নভেম্বর সম্বলের শাহী জমে মসজিদে সমীক্ষা করতে গিয়েছিল এএসআই। আদালতের নির্দেশে সমীক্ষা করতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে কেন্দ্রীয় সংস্থার সদস্যরা পৌঁছালেই হিংসা শুরু হয়। আক্রান্ত হন এএসআই-এর সদস্যরা। এই ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছিল প্রচুর মানুষ। সূত্রের খবর, রবিবার অর্থাৎ আজ আবার এএসআই মসজিদ পরিদর্শন করতে পারে।
এসসি সম্বল মসজিদ বিবাদে বিচার আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করেছে, কর্তৃপক্ষকে শান্তি, সম্প্রীতি বজায় রাখতে বলেছে
মোরাদাবাদের বিভাগীয় কমিশনার অঞ্জনেয়া কুমার সিং বলেছেন, "উত্তর প্রদেশ সরকার গঠিত কমিশনের দুই সদস্য শনিবার এখানে পৌঁছেছেন। তৃতীয় সদস্য রবিবার তাদের সাথে যোগ দেবেন যখন তারা সম্বল যাচ্ছেন।"
সম্প্রতি সম্বলের জামে মসজিদ নিয়ে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। সেই পিটিশনে দাবি করা হয়েছে মসজিদের স্থানে আগে হরিহরের মন্দির ছিল। এই ঘটনা সত্যি কিনা তা জানতেই এই সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও ২৪ নভেম্বর সমীক্ষা করতে পারেনি এএসআই। রবিবার হতে পারে সেই আটকে থাকা সমীক্ষা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।