সংক্ষিপ্ত
সম্বলের জামা মসজিদের সমীক্ষা চলাকালীন হিংসাত্মক সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উত্তেজনা বিরাজ করায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সম্বলের হিংসার আপডেট: উত্তরপ্রদেশ সরকার এখনও উপনির্বাচনে জয়ের উৎসব পালন করছিল, কিন্তু সংভলে সংঘটিত হিংসা আইন-শৃঙ্খলার উপর প্রশ্ন তুলেছে। সংভলের জামা মসজিদ সমীক্ষাের সময় সংঘটিত বিক্ষোভ হিংসার রূপ ধারণ করে। পাথর ছোঁড়া এবং হিংসায় কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উত্তেজনা এবং বিক্ষোভের কারণে এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলায় ১২ শ্রেণি পর্যন্ত সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই হিংসায় পুলিশ কর্মীরাও আহত হয়েছেন। পুলিশ তিনজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে। মৃতদের পরিচয় পাওয়া গেছে। মৃতদের নাম নোমান, বিল্লাল এবং নঈম। নিহতদের পরিবার পুলিশের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে। তারা এটিকে পুলিশি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে, কমিশনার আঞ্জনেয় কুমার সিং দাবি করেছেন যে গুলি ছাদ থেকে চালানো হয়েছে। সেই গুলি থেকেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
কিভাবে শুরু হল হিংসা?
আদালতের আদেশে একটি সমীক্ষা দল সংভলের জামা মসজিদের সমীক্ষা করতে পৌঁছেছিল। আদালতে দাবি করা হয়েছে যে সংভলের জামা মসজিদ আসলে একটি হিন্দু মন্দির। মুঘল সময়ের মসজিদটি একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের স্থানে তৈরি হয়েছে। দাবির পর আদালত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের নেতৃত্বে একটি সমীক্ষা দল গঠন করে। এই দলটি শনিবার পৌঁছেছিল। স্থানীয় জনগণ এর বিরোধিতা শুরু করে। চোখের পলকে বিষয়টি বড় হয়ে গেল যখন স্থানীয় জনগণ পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পাথর ছোঁড়ার পর পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য অশ্রু গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। রাগান্বিত বিক্ষোভকারীরা অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এই ঘটনায় পুলিশ ক্যাপ্টেন সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন। অন্যদিকে, পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কিছু মানুষ আহত হন।
পিএসি-র বেশ কয়েকটি কোম্পানি মোতায়েন, উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা করছেন ক্যাম্প
সংভলে হিংসার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ বল মোতায়েন করা হয়েছে। পিএসি-র বেশ কয়েকটি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। মোরাদাবাদের ডিআইজি মুনিরাজ, এডিজি রমিত শর্মা সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক ক্যাম্প করছেন। এসপি কৃষ্ণ কুমার জানিয়েছেন যে হিংসার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। ড্রোনও এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে দাঙ্গাবাজদের শনাক্ত করা হবে। তাদের চিহ্নিত করে এনএসএ-র কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করা হবে।